(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
আগামী শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক অসামরিক পরমাণু বিদ্যুৎক্ষেত্রে সহযোগিতা এই সংলাপে অগ্রাধিকার পেতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল)-এর সঙ্গে আমেরিকার ওয়াশিংটন হাউস ইলেকট্রিক কোম্পানি (ডব্লিউ ই সি) মধ্যে যে নতুন ছ’টি পরমাণু চুল্লি গড়ার বিষয়টি নিয়ে যে দীর্ঘ দরকষাকষি চলছে, বাইডেনের আসন্ন সফরের পরে তা ইতিবাচক গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের কোভাড়ায় ১১০০ মেগাওয়াট করে শক্তিসম্পন্ন ছ’টি চুল্লি বসার কথা রয়েছে। ২০০৮ সালের অক্টোবরে ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি সই হলেও ভারতে ডব্লিউ ই সি-র পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি এখনও ঝুলে রয়েছে, ২০১০ সালে অসামরিক পরমাণু দায়বদ্ধতা বিলটি পাশ হওয়ার পর।
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, মোদী-বাইডেন আলোচনায় উঠে আসবে ভারতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট আমদানিতে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ। গত মাসে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়, শুধুমাত্র বৈধ লাইসেন্স থাকলে তবেই আমদানিতে অনুমোদন দেওয়া হবে। ভারত জানিয়েছিল নিরাপত্তার স্বার্থেই সাময়িক ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে ভারত-আমেরিকার দ্বিপক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের যেন ক্ষতি না হয়, সেই লক্ষ্যে কথা বলবেন দুই নেতা।
জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকঁর-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হবে মোদীর। জানা যাচ্ছে, জো বাইডেন ও ইমানুয়েল মাকঁর-র সম্মানে আয়োজিত হতে চলেছে ভোজসভা। একটি নৈশভোজ, অপরটি মধ্যাহ্নভোজ হতে পারে বলে খবর। জানা গিয়েছে, মাকরঁ ভারত থেকে ঢাকায় রওনা হচ্ছেন রবিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy