চাপ বাড়বে আমজনতার উপর। ফাইল চিত্র ।
পেট্রোপণ্যের দাম বাড়াল বাংলাদেশ সরকার। তবে ভারত সরকারের মতো এক টাকা-দু’টাকা করে নয়, এক ধাক্কায় ৩০-৪০ টাকা দাম বাড়িয়েছে সে দেশের সরকার। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ লিটার প্রতি পেট্রলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪৪ টাকা। আগে এক লিটার পেট্রলের দাম ছিল ৮৬ টাকা। এখন তা বেড়ে এক ধাক্কায় ১৩০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়ানো হয়েছে, ডিজেল, অকটেন এবং কেরোসিনেরও। লিটার প্রতি ডিজেল এবং অকটেনের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৩৪ টাকা এবং ৪৬ টাকা। এর আগে এক লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৮০ টাকা। অকটেন ছিল ৮৯ টাকা।
প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ করে কেন পেট্রল-ডিজেলের দাম এই পরিমাণে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার? সে দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) গত ছয় মাসে পেট্রোপণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছে। আর তাই বর্তমান আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কারণে আমদানি স্বাভাবিক রাখতে বেশি দামে জ্বালানি বিক্রি করতে হচ্ছে সরকারকে।
প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও পেট্রোপণ্যের দাম কমানো যায় কি না, সে বিষয়ে বিবেচনা করে দেখা হবে।
শুক্রবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জারি করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। এর আগে ২০২১-এর নভেম্বরে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। সেই সময়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়তে চলেছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি এই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর এসে পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy