জেরেমি ম্যাকডোলের দিকে বন্দুক উঁচিয়ে মার্কিন পুলিশকর্মীরা। ছবি: টুইটার।
হুইল চেয়ারে বসে আছে প্রতিবন্ধী এক যুবক।
তাঁর সামনে বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে এক পুলিশকর্মী। ক্রমাগত চেঁচিয়ে চলেছেন ওই পুলিশকর্মী।
‘তোমার হাতে কী আছে, দেখাও আমায়। বন্দুক ফেলে দাও’—ওই যুবককে বলেন পুলিশকর্মী।
এর পর ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা যায় অন্য পুলিশকর্মীদেরও। ‘হাত উপরে তোলো। তোলো হাত উপরে’ বলে চেঁচাতে চেঁচাতে সে দিকে ছোটেন তাঁরা।
এর পরেই দুম! গুলির শব্দ। এক বারই।
দেখা যায়, প্রতিবন্ধী যুবকটি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন রাস্তায়। নিহত যুবকের নাম জেরেমি ম্যাকডোল (২৮)। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকায়। ডেলাওয়্যার প্রদেশের উইলমিংটন অঞ্চলে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ভিডিও নজরে আসতেই এখন উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা।
মোবাইল ফোনে তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে আছে জেরেমির দেহ। কিন্তু, ভিডিওতে এটা স্পষ্ট নয়, নিহত ওই যুবকের কাছে কোনও বন্দুক ছিল কি না। তদন্ত শুরু হয়েছে। বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে অশ্বেতাঙ্গদের মানবাধিকার সংগঠন ‘ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ কালার্ড পিপল’(এনএএসিপি)।
উইলমিংটনের পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘ওই যুবকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাতেই ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হন। গুলির আওয়াজ শুনেই পুলিশ তার কাছে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে দিতে বললেও, সে শুনতে রাজি হয়নি। প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই পুলিশ তাকে গুলি করে।’
কিন্তু, পুলিশের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন নিহত যুবকের মা ফাইলিস ম্যাকডোল। তাঁর কথায়, ‘আমার প্রতিবন্ধী ছেলের কাছে কোনও বন্দুক ছিল না। সে কোনও অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত নয়।’ ভিডিওতে ওই যুবককে কোলের কাছে হাত রাখতে দেখা যায়। হাতে কোনও আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিরস্ত্র অবস্থায় তাঁর ছেলেকে ইচ্ছাকৃত ভাবে মার্কিন পুলিশ মেরেছে বলে দাবি ওই যুবকের মায়ের।
ঘটনাটি অশ্বেতাঙ্গদের উপর মার্কিন পুলিশের অত্যাচারের আরও একটি উদাহরণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy