মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর স্মৃতিস্থল রাজঘাটে শ্রদ্ধার্ঘ্য নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই।
শক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর পথে হাঁটল ভারত এবং নেপাল। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, ভারতের ভূখণ্ডকে ব্যবহার করে নেপালের জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানো। বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্ত সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত কিছুটা শক্ত করবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডের কথায়, “ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির সক্রিয়তাকে আমি স্বাগত জানাই। স্থির হয়েছে, ভারতের ভিতর দিয়ে ৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আমরা বাংলাদেশে রফতানি করব। এই প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। তিনটি দেশ একসঙ্গে বসে এই নিয়ে চুক্তি তৈরি করবে।”
পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সফররত নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আশ্বস্ত করেছেন, ভারত-নেপাল সীমান্ত নিয়ে যে বিবাদ রয়েছে তা ‘বন্ধুত্বের আবহাওয়াতেই’ মিটিয়ে ফেলা হবে। আজ তাঁদের বৈঠকের পরে একাধিক যৌথ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল এবং বাণিজ্যের সুবিধার জন্য রেল সংযোগের উন্নতি, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য নতুন চেকপোস্ট, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম আন্তঃসীমান্ত পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন তৈরির পরিকল্পনা। মোট সাতটি চুক্তি সই হয়েছে আজ। তার মধ্যে একটি চুক্তির ফলে এই প্রথম বার ভারতের অভ্যন্তরীণ জলভাগের নাগাল পাবে নেপাল।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আজ মোদী-প্রচণ্ড বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে সীমান্ত-সমস্যার বিষয়টি। মোদী সাংবাদিকদের বলেছেন, “দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বন্ধন রয়েছে। সীমান্ত-সমস্যার সমাধান হবে এই আবহেই।” তাঁর কথায়, “আমরা আমাদের সম্পর্ককে হিমালয়ের উচ্চতায় নিয়ে যাব। এই ভাবেই সমস্ত বকেয়া বিষয় আমরা মিটিয়ে ফেলতে পারব। সেটা সীমান্ত সংক্রান্ত হোক বা অন্য কিছু।” প্রচণ্ডের কথায়, “আমি এবং মোদীজি সীমান্ত নিয়ে কথা বলেছি। আমি তাঁকে অনুরোধ করেছি, আমাদের যে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক মেকানিজ়ম রয়েছে, তার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে।”
ঘটনা হল, ভারত-নেপাল ১৮৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা রয়েছে। কেবলমাত্র বিতর্ক রয়েছে কালাপানি এবং সুস্তা অঞ্চলে। তিন বছর আগে এই নিয়ে বিবাদ চরমে উঠেছিল, যখন নেপাল তার রাজনৈতিক মানচিত্রে কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে (এগুলি ভারতের নিয়ন্ত্রণে) নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখায়। দীর্ঘদিন ধরে এই সংঘাত চলে। পরে নয়াদিল্লির দৌত্যে তা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy