মিশর সফর শেষে কায়রো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
আমেরিকার পর মিশর সফর শেষ করে ভারতে ফেরার জন্য রওনা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে বলে গেলেন, মিশরে তাঁর প্রথম সফর ‘ঐতিহাসিক’ ছিল। তাঁর আশা দু’দেশের সুসম্পর্ক দু’দেশের মানুষকে উপকৃত করবে। পাশাপাশি, দু’দেশের মধ্যে যৌথ অংশীদারির বার্তাও দিয়েছেন মোদী। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারবারিরা।
মিশরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করার চেষ্টা গত কয়েক বছর ধরেই করে আসছে ভারত। এ বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের উদ্যাপনে ভারতে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতাহ এল-সিসিকে। অন্য দিকে, মিশরও চেষ্টা করছে ভারতের মতো দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করে ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে। এই পরিস্থিতিতে মোদীর মুখে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সফল হওয়ার ইঙ্গিতকে দু’দেশের অর্থনীতির জন্যই ইতিবাচক বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
মিশর এর আগেই জানিয়েছে, ব্রিকসের সদস্য পদ পেলে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা)-এর সঙ্গে মার্কিন ডলার ছাড়াই বাণিজ্য করবে তারা। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিও সেই নীতিতেই চলার কথা ভাবছে দীর্ঘদিন ধরে। কারণ তাতে তাদের অর্থনৈতিক সুবিধা হবে। অন্য দিকে, মিশর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। এমনকি, সুয়েজ খালের উপর নিয়ন্ত্রণও রয়েছে এ দেশের। মিশরের সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্কে তাই মিশরের মতোই ভারতও লাভবান হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। সে জন্যই মোদীর মিশর সফর গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সফর শেষে মোদী যা জানিয়েছেন, তাতে তাই আশা বেড়েছে।
দু’দিনের সফরে শনিবারই আমেরিকা ছেড়ে মিশরে এসে পৌঁছেছিলেন মোদী। সফরে মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদী। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেছেন। মোদীকে মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার অফ দ্য নাইল’-এ সম্মানিত করেছেন প্রেসিডেন্ট এল সিসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy