প্রয়াত পাইলট ক্যাপ্টেন ইভান আন্দুর। ছবি: সংগৃহীত।
শৌচাগারে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বিমানচালক। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সহকারী পাইলটের চেষ্টায় বিমানটি জরুরি অবতরণ করল। আমেরিকার মায়ামি থেকে চিলির উদ্দেশে উড়ে যাওয়া বিমানটিতে ছিলেন ২৭১ জন যাত্রী। তবে নির্বিঘ্নেই বিমানবন্দরে নেমেছে বিমানটি। সুস্থ এবং নিরাপদেই বিমান থেকে নেমেছেন যাত্রীরাও।
গত রবিবার নির্ধারিত সময়েই মায়ামি বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল বিমানটি। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন ইভান আন্দুর। কিন্তু বিমান ছাড়ার পরে হঠাৎই অস্বস্তিবোধ হয় তাঁর। মাঝ আকাশে বিমানচালনার ভার সহকারী পাইলটকে দিয়ে শৌচাগারে যান তিনি। সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ক্যাপ্টেন। সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিকে পানামার টকুমেন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়। সেখানে বিমানটি নামার পর চিকিৎসকদের একটি দল ক্যাপ্টেনের শারীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
সোমবার সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা ‘লাটাম এয়ারলাইন্স’-এর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মায়ামি থেকে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো যাওয়ার পথে পানামায় জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে বিমানটি। বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটিতে মোট তিন জন পাইলট থাকলেও অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতার নিরিখে অগ্রগণ্য ছিলেন ক্যাপ্টেন ইভানই। তাঁকে প্রাণে বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি বলে দুঃখপ্রকাশ করেছে সংস্থাটি। বিমান সংস্থার একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ২৫ বছর ধরে বিমান চালাচ্ছিলেন ৫৬ বছর বয়সি ক্যাপ্টেন। ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মঙ্গলবার পানামা থেকে আবার সান্তিয়াগোর উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy