গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বিমান তখন রানওয়ে ধরে ক্রমশ গতি কমিয়ে থামতে চলেছে। যাত্রীরাও যে যার লটবহর তুলে গা ঝাড়া দিয়ে বেরনোর অপেক্ষায়। এই বিমানেই ছিলেন ক্যালিফর্নিয়ার বাসিন্দা ৫৭ বছরের র্যান্ডি ফ্র্যাঙ্ক দাভিলাও। আচমকাই দেখা গেল, বিমানের জরুরি দরজা খুলে গটগট করে হাঁটতে হাঁটতে ডানায় চলে গেলেন তিনি!
মুহূর্তে হইচই। জরুরি ব্রেক কষে থামাতে হল প্লেন। শিকাগো বিমানবন্দরে হুলস্থুল। র্যান্ডিকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁকে ২৭ জুন আদালতে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৪৭৮-এ সান দিয়েগো থেকে শিকাগো ফিরছিলেন ফ্র্যাঙ্ক। শিকাগো বিমানবন্দরে অবতরণের পর, যখন যাত্রীরা মালপত্র নিয়ে নামার অপেক্ষা মূল দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই আচমকা জরুরি দরজা খুলে ফেলেন র্যান্ডি। তার পর সোজা হাঁটতে হাঁটতে ডানায় পৌঁছে যান। বিমান তখনও চলছে। একই সঙ্গে চলছে ডানায় র্যান্ডির পায়চারিও!
এই দৃশ্য দেখে চোখ কপালে সকলের। এহ বাহ্য, র্যান্ডি ডানা থেকে লাফিয়ে নীচেও নেমে পড়েন। তাঁকে আটক করেছে শিকাগো পুলিশ। বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ‘ওই ব্যক্তি বিমানের জরুরি দরজা খুলে চলন্ত বিমানের ডানায় পৌঁছে যান। তার পর লাফিয়ে নীচে নেমে আসেন। গ্রাউন্ড ক্রুরা তাঁকে আটক করেছেন।’
কিন্তু কেন এমন করলেন র্যান্ডি? আমেরিকার এক শহর বা প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশ বা শহরে যাতায়াত করেন যাঁরা, তাঁদের একটি অংশ বলছেন, বিমান থামার পর নামার জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। মূল ফটকের সামনে ব্যাপক ভিড়ও থাকে। সময় ও ঠেলাঠেলা এড়াতেই কি র্যান্ডি জরুরি দরজা খুলে নীচে নেমে এলেন? অনেকেই তেমনটা মনে করছেন।
তবে আমেরিকার বিমানে এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনা নতুন নয়। কেবল গত বছরই অভদ্র ব্যবহারের কারণে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষকে নিষিদ্ধ তালিকা (এই তালিকায় নাম উঠলে বিমানযাত্রা করা যায় না।) পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে সহযাত্রীকে বেধড়ক মারধর, তেমনই রয়েছে মাঝ আকাশে দরজা খুলে ফেলার চেষ্টাও। এ বার সেই তালিকা যুক্ত হল জরুরি দরজা খুলে ডানায় পায়চারির ঘটনাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy