গাড়ি থেকে না-বেরিয়ে এ ভাবেই ‘অপারেশন গ্রিড-লক’-এ নেমেছেন জনসাধারণের একাংশ।—ছবি এপি।
লকডাউন চালু করা নিয়ে গোড়ায় গড়িমসি করতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সম্প্রতি লকডাউনের বিরোধিতায় রাস্তায় নামলেন আমজনতারও একটা বড় অংশ। কম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১ মে-র আগেই লকডাউন তোলার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। এ দিকে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দেশে। এই মুহূর্তে শীর্ষে— সাড়ে ৩৫ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৯০২ জন। বাড়ছে সংক্রমণও। আমেরিকায় করোনা-আক্রান্ত এখন প্রায় সাত লক্ষ।
লকডাউন উড়িয়ে গত কালই ওয়াশিংটন ডিসির বাড়ি থেকে নিউ জার্সির গল্ফ রিসর্টে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন ট্রাম্প-কন্যা ইভাঙ্কা ও তাঁর স্বামী জ্যারেড কুশনার। হোয়াইট হাউসের দাবি, সতর্কতা মেনেই সফরে গিয়েছেন ইভাঙ্কারা।
এ দিকে লকডাউন-বিরোধী আন্দোলনের জেরে মিশিগান, ওহায়ো, কেন্টাকি, মিনেসোটা সর্বত্র ছবিটা বিপজ্জনক— বলছেন প্রদেশেরই গভর্নরেরা। পেটে টান পড়েছে বলেই তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন বলে দাবি একাংশের। বুধবার মিশিগানের রাস্তায় কয়েক মাইল জুড়ে দেখা গিয়েছিল গাড়ির লাইন। গাড়ি থেকে না-বেরিয়ে এ ভাবেই ‘অপারেশন গ্রিড-লক’-এ নেমেছেন এই প্রদেশের একাংশ। তাঁদেরই এক জন বললেন, ‘‘যা দেখছি, তাতে এখানে আমরা যাঁরাই এসেছি, সবাই আক্রান্ত হব। কিন্তু লকডাউন না-উঠলে তো এমনিতেই মরতে হবে মনে হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: রোমানিয়া থেকে লন্ডনে ‘জমি-সেনা’
মিনেসোটায় ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সরব কেন্টাকির একাংশ বিক্ষোভের ঘটনায় সরাসরি মুখ খোলেননি ট্রাম্প। সূত্রের খবর, করোনা-সঙ্কট মিটলেই যাতে চিনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্ত শুরু হয়, তা নিয়ে প্রেসিডেন্টকে আর্জি জানিয়েছেন বহু সেনেটর।
করোনায় হিমশিম খাচ্ছে সিঙ্গাপুর, ব্রিটেনের মতো বহু দেশ। সিঙ্গাপুরে শুধু আজই ৬২৩ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ মিলেছে। সূত্রের খবর, এর একটা বড় অংশ বিভিন্ন ডর্মিটরিতে রাখা বিদেশিরা। গত ১৪ দিনে ডর্মিটরি-সংক্রমণ প্রায় ৭০ গুণ বেড়ে প্রায় তিন হাজার ছুঁয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার পর কেমন বৃদ্ধির হার ভারত-সহ বিশ্বের? IMF-এর পূর্বাভাস
ব্রিটেনে আক্রান্ত লক্ষাধিক এবং মৃত ১৪,৫৭৬। কিন্তু সরকার শুধুই হাসপাতালে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের ডিরেক্টর অ্যান্টনি কস্টেলো। তাঁর দাবি, সব ধরলে, ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছোঁবে। যদিও এই ‘সিস্টেম এরর’ মানতে নারাজ ব্রিটিশ সরকার।
সময়োচিত পদক্ষেপে অস্ট্রেলিয়ায় করোনা-দাপট ঠেকিয়ে রাখা গিয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। কিন্তু অভিভাবকদের একাংশ শিফ্টিংয়ে স্কুল খোলার আর্জি জানিয়েছেন। যা আজ কার্যত নাকচ করে অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন দেশবাসীকে আরও এক বছর লকডাউনের হুঁশিয়ারি দেন। সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি জাপানেরও।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy