চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে বাংলাদেশে পথে নামলেন জুলাই আন্দোলনের আহতেরা। রবিবার সকালে তাঁরা প্রথমে ঢাকার আগারগাঁও এবং পরে মিরপুর সড়ক অবরোধ করেন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, অবরোধকারীরা বিকেল চারটে পর্যন্ত সময় দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না মিললে তাঁরা সচিবালয়ের দিকে এগিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের অবরোধের জেরে মিরপুর সড়ক দৃশ্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে ঢাকার রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন জুলাই আন্দোলনের আহতেরা। গলায় প্রতীকী দড়ি নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছেন এক আন্দোলনকারী। তাঁর সঙ্গে থাকা পোস্টারে লেখা, “হয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, না হয় আত্মহত্যা।” বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তাঁরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এই নিয়ে শনিবারও ঢাকার চক্ষু হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রাতেও চলে সেই বিক্ষোভ। এর পরে রবিবার থেকে আবারও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁদের অভিযোগ, আন্দোলনে তাঁদের অবদান রয়েছে, কিন্তু সরকারের কেউ এখন আর তাঁদের খোঁজখবর রাখেন না। এমন অবস্থায় নিজেদের চিকিৎসার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিরও দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন:
কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত বছরের জুন-জুলাই মাস তোলপাড় হয়েছে বাংলাদেশে। পর পর জোড়া আন্দোলনের ধাক্কায় ক্ষমতাচ্যুত হন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময়ে আন্দোলনকারীদের দমন করতে হাসিনা জমানার পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান আবু সাঈদ, মীর মাহফুজুর রহমান। পুলিশি দমন পীড়নে আহত হন আরও অনেকে। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা আন্দোলনরে জেরে গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে হাসিনার সরকারের পতন হয়। কিন্তু জুলাই আন্দোলনে আহতেরা অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, এখন তাঁরা সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না।