নির্বাচনী প্রচারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যারিজ়োনার টুসনে। এপি
ছ’জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট যে তাঁর পরামর্শ শুনে চলতে খুব একটা পছন্দ করেন না, তার প্রমাণ আগেও একাধিক বার মিলেছে। এ বার আমেরিকার সেই অভিজ্ঞ, জনপ্রিয় ইমিউনোলজিস্ট অ্যান্টনি ফাউচিকে ‘ইডিয়ট’ বলে সম্বোধন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা মোকাবিলায় মার্কিন প্রশাসনের টাস্ক ফোর্সের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য প্রবীণ এই চিকিৎসক। করোনাভাইরাস এবং তার ভ্যাকসিন নিয়ে ট্রাম্পের একাধিক দাবিকে এর আগে অসত্য বলে দাবি করেছেন ফাউচি। গত কাল তাঁর প্রচারের কিছু কর্মীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে ট্রাম্প বলেন, ‘‘মানুষ বলছেন, ‘যা-ই হোক আমাদের একা ছেড়ে দিন’। ওঁরা আসলে ক্লান্ত। ফাউচি আর বাকি ইডিয়টদের কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত।’’
অতিমারিতে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, দেশের মানুষ ফাউচির পরামর্শ মেনে চললে মৃতের সংখ্যা হত ৭ থেকে ৮ লক্ষ। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তিনি মনে হয় ৫০০ বছর ধরে থাকবেন।’’ সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, তাই ফাউচিকে এখনই যাবতীয় দায়িত্ব থেকে সরালে তার ফল উল্টো হতে পারে আশঙ্কা করছেন প্রেসিডেন্ট। যদিও রিপাবলিকান নেতাদের একাংশই ট্রাম্পের এই মন্তব্য ভাল চোখে নেননি। সেনেটর ল্যামার আলেকজ়ান্ডার যেমন বলেছেন, ‘‘রোনাল্ড রেগান থেকে শুরু করে ছ’জন প্রেসিডেন্টের আমলে দেশের সেবা করেছেন ডক্টর ফাউচি। তাঁকে দেশ সম্মান করে। তাঁর কথা দেশের বেশির ভাগ মানুষ শুনলে আমরা এত দিনে স্বাভাবিক ভাবে স্কুল, অফিস, বাইরে খাওয়া-দাওয়া সব করতে পারতাম।’’
আমেরিকার মতোই ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। স্পেনের মতোই চিন্তা বাড়ছে ইটালিতে। প্রথম ধাক্কায় সে দেশের উত্তরাংশে লম্বার্ডিতে সংক্রমণের হার ছিল খুব বেশি। এখন আবার নতুন করে মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন। তাই সেখানে রাতে কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। একই নিয়ম চালু হয়েছে দক্ষিণের ক্যাম্পানিয়া প্রদেশেও। লকডাউনে আর্থিক মন্দার ধাক্কা সামলাতে হোটেল ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্পেনের ক্যাটালোনিয়ার আঞ্চলিক সরকার।
আরও পড়ুন: এইচ-১বি: নয়া নীতিতে মামলা
কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধকের খোঁজে নতুন গবেষণা শুরু হতে চলেছে ব্রিটেনে। সেখানে ৩.৩৬ কোটি পাউন্ড আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। পরীক্ষাগারে তৈরি নোভেল করোনাভাইরাস ঢোকানো হবে ১৮ থেকে ৩০ বছরের স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে। প্রথম ধাপে তার জন্য প্রয়োজন হবে মোট ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবী। গবেষকদের দাবি, কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা ভাইরাসের কতটা অংশ মানবদেহে ঢুকলে সেই ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারেন, সেটা জানলে প্রতিষেধক তৈরিতে সুবিধে হবে। এই গবেষণায় মূলত লন্ডন ইম্পিরিয়াল কলেজের সঙ্গে জোট বাঁধছে আরও কয়েকটি সংস্থা। এথিক্স কমিটির অনুমোদন পেলে আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হবে গবেষণার কাজ। শেষ হতে লাগবে মাস পাঁচেক।
আরও পড়ুন: ভারতের ভূমিকায় উদ্বেগ
এ দিকে গোটা বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে প্রতিষেধক পৌঁছতে কোমর বাঁধছে ইউনিসেফ। এ বছরের মধ্যেই ৫০ কোটি সিরিঞ্জ-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম তৈরি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সংস্থাটি। সংগঠনের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েট্টা ফোরে বলেছেন, ‘‘ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ যাতে দ্রুত করা যায়, তাই দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে।’’ আগামী বছরের মধ্যে ১০০ কোটি সিরিঞ্জ মজুত করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy