ছবি: রয়টার্স।
নির্বাচনী ময়দানের পর এ বার ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের ‘বাধা’র মুখে জো বাইডেন। অভিযোগ, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির আধিকারিকের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট বাইডেনের ট্রানজিশন দলকে সাক্ষাতের অনুমতি দিতে অস্বীকার করল পেন্টাগন। যদিও গোটা বিষয়টি মানতে নারাজ পেন্টাগন। টিম বাইডেনের পাশাপাশি এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ওই গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও। তবে আমেরিকার একাধিক প্রথম সারির সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বাইডেনের টিমকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
চলতি সপ্তাহেই ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ), ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিএসএ)-সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা ছিল বাইডেনের ট্রানজিশিন টিমের। এ বিষয়ে গত ২৩ নভেম্বরই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল আমেরিকার জেনেরাল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তবে মার্কিন সংবাদ সংস্থার দাবি, চলতি সপ্তাহে টিম বাইডেনের সেই সাক্ষাতের অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
পেন্টাগনের তরফে প্রতিরক্ষা দফতরের ওই গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি না পেলেও চলতি সপ্তাহে সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি)-র এবং ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স অফিসের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরেছে বাইডেনের টিম। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই দুই এজেন্সি পেন্টাগনের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।
আরও পড়ুন: মাস্ক ব্যবহার করুন সবাই, আর্জি ভাবী প্রেসিডেন্টের
আরও পড়ুন: নতুন ভিসা বিলে সুখবর আমেরিকায় কর্মরতদের জন্য
তবে, বাইডেনের দলকে প্রতিরক্ষা দফতরের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করতে দেওয়ার এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে পেন্টাগন। শুক্রবার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র সু গঘ দাবি করেছেন, ‘‘টিম বাইডেনকে কোনও ভাবেই গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে বাধা দেওয়া হয়নি।’’ উল্টে তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে হয়তো টিম বাইডেনকে ওই অনুমতি দেওয়া হবে। পেন্টাগনের আধিকারিকেরা এ নিয়ে টিম বাইডেনের উপরেই যাবতীয় দায় চাপিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিরক্ষা আধিকারিকের দাবি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে অনুচিত ভাবে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিল টিম বাইডেন। তাদের বলা হয়েছে, এ নিয়ে পেন্টাগনের কাছে প্রথামাফিক আর্জি জানাতে হবে।
নভেম্বরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ডো বাইডেনের জয়ের পরেও তা মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর নির্বাচনের প্রায় এক মাস কেটে গেলেও বাইডেনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। টিম বাইডেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা দফতরের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সাক্ষাৎ সম্ভব না হওয়ায় আমেরিকার প্রশাসনের অন্দরে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও এ নিয়ে টিম বাইডেনের টিমের মতোই এনএসএ বা ডিআইএ-র কোন আধিকারিকই মুখ খুলতে নারাজ। তবে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, এতে আমেরিকার প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত রাশিয়া, চিন বা ইরানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে পরিচালনায় ক্ষেত্রে গতিরোধ হবে টিম বাইডেনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy