পাকিস্তানের অন্দরের নিরাপত্তায় বড়সড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে টিটিপি-র জঙ্গিরা। প্রতীকী ছবি।
‘সন্ত্রাসবাদ এবং কট্টরপন্থীদের’ বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে সামরিক অভিযানে সবুজ সঙ্কেত দিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। সোমবার কমিটির বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে কমিটি স্পষ্ট জানিয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আলোচনার পথ নয়। বরং সামরিক অভিযান করা হবে।
শরিফের নিশানায় উঠে এসেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি), বর্ষশেষের দিনে যারা পাকিস্তানে একটি সমান্তরাল সরকার গঠনের ঘোষণা করেছে। যে সরকারে পাকিস্তানকে উত্তর এবং দক্ষিণ, এই দু’টি জ়োনে ভাগ করছেন টিটিপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। উত্তরাঞ্চলের মধ্যে রয়েছে পেশোয়ার, মলকন্দ, মরদন এবং গিলগিট-বালুচিস্তান-সহ বহু এলাকা। অন্য দিকে, দক্ষিণ ভাগে দেরা ইসমাইল খান, বন্নু এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার কোহটের মতো জেলা। টিটিপি-র সরকারে ক্যাবিনেট-সহ একাধিক মন্ত্রকও গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে আত্মঘাতী বোমারুর দল। ঘটনাচক্রে, এর পরেই কমিটির বৈঠকে টিটিপি-সহ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করল পাক সরকার।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রান সানাউল্লাহের দাবি, শুধু মাত্র খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ৭,০০০-১০,০০০ টিটিপি জঙ্গি রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের মিলিয়ে সে সংখ্যা অতিরিক্ত ২৫,০০০ হবে বলেও দাবি তাঁর।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের অন্দরের নিরাপত্তায় বড়সড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে টিটিপি-র জঙ্গিরা। গত এক বছরে দেশের সুরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোট ৪৮৪টি হামলা চালিয়েছে তারা। পড়শি দেশ আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর টিটিপি আরও শক্তিশালী হয়েছে। যদিও পাক সরকার তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের একাংশের।
সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, সোমবারের বৈঠকে জঙ্গিদের কড়া বার্তা দিয়েছে পাক সরকার। কমিটি জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করা হবে না। পাশাপাশি, সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেও মনে করে কমিটি। দেশ জুড়ে জঙ্গি দমনে সামরিক অভিযান ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলারক্ষায় নিযুক্ত সংস্থাগুলির জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করবে পাক সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy