প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে এ বার আক্রান্ত হল বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের কনভয়। ওই অঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) রবিবার হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাক সেনা এবং সরকারের। যদিও সোমবার টিটিপির তরফে হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াট জেলার মালম-জাব্বা সড়কে যে কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, তাতে ১২টি দেশের কূটনীতিক ও বিদেশি বিশিষ্ট অতিথিরা ছিলেন বলে প্রাদেশিক পুলিশ বাহিনীর এডিজি মহম্মদ আলি খান জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, দূরনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক পুলিশকর্মী নিহত এবং তিন জন গুরুতর আহত হলেও সব কূটনীতিক নিরাপদ রয়েছেন।
তালিবানের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ বলছে, খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের টিটিপির মেহসুদ গোষ্ঠী সক্রিয়। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে প্রভাব রয়েছে হক্কানি নেটওয়ার্কের। তাদের নেতা সিরাজুদ্দিন আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের মন্ত্রী। সোয়াট উপত্যকায় সক্রিয় ‘তেহরিক-ই নিফাজ-ই শরিয়তি মহম্মদি’ (টিএনএসএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে হক্কানিদের পুরনো শত্রুতা রয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে সক্রিয় টিটিপি গোষ্ঠীর সঙ্গে পাক সরকারের শান্তিবৈঠক ভেস্তে যায়। তার পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। জবাবে সেনা এবং অসামরিক নিশানার উপর হামলা চালাচ্ছে টিটিপিও। আফগানিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন করেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সরাসরি কবুল করে নিলেন তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের ডেরায় পাক সেনার হানাদারি কথা! সেই সঙ্গে তাঁর সদর্প ঘোষণা, ‘‘প্রয়োজনে ভবিষ্যেতেও সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে আফগানিস্তানে আমাদের সেনা অভিযান চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy