হাফিজ় সইদ
মুম্বই হামলার মূল চক্রী তথা জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ় সইদকে ‘শীঘ্র’ই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ। গ্রেফতার হতে পারে ওই জঙ্গি নেতার ১২ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। জঙ্গিগোষ্ঠীকে আর্থিক মদত দেওয়ার এবং কালো টাকা লেনদেনের অভিযোগে হাফিজ়-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গত কাল ২৩টি মামলা দায়ের করেছিল পাক পঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগ। আর আজ এল গ্রেফতারির সম্ভাবনার খবর।
এ নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমারের মন্তব্য, ‘‘আন্তর্জাতিক মহলের চোখে ধুলো দিতে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসলামাবাদ। এ রকম লোক দেখানো পদক্ষেপ করে বোকা বানাতে পারবে না।’’
পঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র নিয়াব হায়দার নকভি বলেছেন, ‘‘এফআইআর হয়েছে। গ্রেফতার শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’ এফআইআর দায়ের হওয়া সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না হাফিজ় ও তার সহযোগীদের? নকভির জবাব, ‘‘আগে এফআইআর দায়ের করতে হয়। তার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওদেরও সময় মতো গ্রেফতার করা হবে।’’ নকভির দাবি, আগেও নিষিদ্ধ ওই সংগঠনের বেশ কয়েক জন সদস্যকে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সন্ত্রাস দমন আদালতে তাদের সাজা হয়েছে। এরাও গ্রেফতার হবে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দফতর সূত্রের খবর, হাফিজ়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আগে প্রশাসনের একেবারে শীর্ষ নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষা করছে পঞ্জাব পুলিশ। ওই সূত্রের দাবি, লাহৌরের জওহর টাউন-এ নিজের বাড়িতে রয়েছে হাফিজ়। সেখানে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতারের আগে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের অনুমোদনের অপেক্ষা করছে পুলিশ। সূত্রটির মতে, চলতি সপ্তাহে গ্রেফতার হতে পারে হাফিজ়।
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বন্ধ করতে কার্যকরী পরিকল্পনা তৈরির কথা ছিল পাকিস্তানের। প্যারিসে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’-এর (এফএটিএফ) বেঁধে দেওয়া সময়সীমা জুনের মধ্যে তা করে উঠতে পারেনি ইসলামাবাদ। এখন এফএটিএফ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছে পাক সরকারকে। ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, ইমরান সরকার যে এফএটিএফের শর্তপূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ, তা বোঝাতেই গ্রেফতার করা হতে পারে জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানকে। তা না হলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে এফএটিএফ। তাতে তাদের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
সন্ত্রাস নিয়ে আজ রাজ্যসভায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে সীমান্ত-পার সন্ত্রাস এবং জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসে কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে। তা না হলে অনুপ্রবেশ এবং জঙ্গি ঘাঁটিগুলি নির্মূল করতে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে ভারত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy