মন্দিরের একাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশকর্মী ও হিন্দুদের উপরেও আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান জেলায় চরমপন্থীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরটিকে ফের সারিয়ে পুজোর জন্য স্থানীয় হিন্দুদের হাতে তুলে দিল স্থানীয় প্রশাসন। কয়েক দিন আগে ওই হিন্দু মন্দিরটিতে হামলার ঘটনার পরেই সক্রিয় হয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে মামলা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কাছে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতও। দু’তরফে চাপের মুখে সক্রিয় হয় পাকিস্তান সরকার। গোটা ঘটনার নিন্দা করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আশ্বাস দেন, দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হবে এবং মন্দিরটি ফের গড়ে তোলা হবে।
সরকার ও সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশের পরে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরটিকে ফের গড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি হামলার ভিডিয়ো দেখে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয় অন্তত ৯০ জনকে। ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এ দিন রহিম ইয়ার খানের পুলিশ আধিকারিক আসাদ সরফরাজ় জানিয়েছেন, মন্দিরটির সংস্কার করে স্থানীয় হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁরা স্বচ্ছন্দে সেখানে পু়জো শুরু করতে পারেন। মন্দিরের একাংশ পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশকর্মী ও হিন্দুদের উপরেও আক্রমণ চালানো হয়েছিল। তাঁদের নির্ভয়ে থাকার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। যদিও তাতে খুব একটা আশার আলো দেখছেন না স্থানীয় সংখ্যালঘুরা। পাকিস্তানে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থানে হামলার ঘটনা বাড়তে থাকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে সরকারের সংখ্যালঘু দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy