ছবি: রয়টার্স
পাক গোয়েন্দারাই সাহায্য করেছেন তালিবানকে, মনে করছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, আমেরিকার কংগ্রেসের এক সদস্য মনে করেন, তালিবদের বিশ্বের নজর থেকে আড়াল করে তাদের নিরাপদে বাড়তেও দিয়েছে পাকিস্তানই। হয়তো সে জন্যই গত ১৫ অগস্ট তালিবরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর পাকিস্তানের কিছু সরকারি পদাধিকারীকে প্রকাশ্যে জয়ের আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছিল। আমেরিকার কংগ্রেসের ওই সদস্য দেখে অবাক হয়েছেন যে, তালিব শাসন আফগানবাসীর জীবনে কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে জানার পরও পাকিস্তানের আনন্দে ভাটা পড়েনি!
আমেরিকার কংগ্রেসের ওই সদস্যের নাম স্টিভ শাবো। রিপাবলিকান দলের সদস্য স্টিভ একই সঙ্গে আমেরিকায় ভারতীয়দের সাংগঠনিক কমিটির উপপ্রধানও। স্টিভ জানিয়েছেন, তালিবানি নির্মমতার হাত থেকে বাঁচাতে আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের একে একে উদ্ধার করছে ভারত। এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অন্য দিকে আফগানবাসীর দুর্দশার কথা জেনেও পাকিস্তানের আনন্দের সীমা নেই। প্রসঙ্গত তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তাদের সরাসরি সমর্থন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। লাইভ টিভিতে পাক প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আফগানিস্তানে দাসত্বের শিকল ভেঙেছে তালিবান।’’
স্টিভ অবশ্য তাঁর বক্তব্যে সরাসরি ইমরানের প্রসঙ্গ তোলেননি। তবে বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান কী ভাবে তালিবদের লালন করেছে, তা আমরা সকলেই জানি। পাক গোয়েন্দারা তো তালিবদের ক্ষমতা দখলে মদতই জুগিয়েছেন। যেটা তার থেকেও বিরক্তিকর, তা হল তালিবানের হাতে আফগানবাসীর ভবিষ্যৎ কতটা নির্মম হবে জেনেও তা নিয়ে খুশিতে মেতে ওঠা। পাকিস্তানের সরকারি পদাধিকারীরা যে ভাবে ওই উদ্যাপনে মেতেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।’’
আফগানবাসীদের উদ্ধারে ভারতের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্টিভ। প্রসঙ্গত, ভারত আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বিশেষ ই-এমার্জেন্সি ভিসা চালু করেছে। যে কোনও আফগানবাসী এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ছাড়া আফগানিস্তানের সঙ্গে হওয়া ঐতিহাসিক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী দিনে আফগানিস্তান থেকে সেখানকার বিশিষ্টদেরও দেশে আশ্রয় দেবে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy