—ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থের জোগান বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ‘এফএটিএফ’। তার পরেই বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক সেনাপ্রধান কমর বাজওয়া জানালেন, সন্ত্রাস দমনে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে পাক সরকার। তবে এ কাজে প্রতিবেশী দেশগুলির সাহায্যও প্রয়োজন।
এফএটিএফ-এর শর্ত মেনে পদক্ষেপ করতে না পারলে আন্তর্জাতিক আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হতে পারে ঋণ সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান। গত কাল লন্ডনে এক বিশেষজ্ঞ সংস্থার মঞ্চে বাজওয়া বলেন, ‘‘শান্তির যারা শত্রু, তাদের নির্মূল করতে আমরা সব সম্পদ ব্যবহার করছি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বিবাদ না মিটলে শান্তি ও স্থিতি ফেরানো কঠিন।’’ বাজওয়ার কথায়, ‘‘সব দেশ, বিশেষত প্রতিবেশীদের উচিত সন্ত্রাস দমনে হাত মিলিয়ে কাজ করা। কারণ, সন্ত্রাসবাদ সকলেরই শত্রু। আমরা অতীতে অনেক যন্ত্রণা ভোগ করেছি। আর ভোগ করতে চাই না। পাকিস্তান শান্তি ও স্থিতির পথে এগোচ্ছে।’’ তাঁর মতে, পাকিস্তান আঞ্চলিক যোগাযোগের কেন্দ্র। নিরাপত্তার উন্নতি হওয়ায় দেশে বিদেশি লগ্নির সম্ভাবনা বেড়েছে। কূটনীতিকদের মতে, বাজওয়া বলতে চান, পাকিস্তান সন্ত্রাস-দমনে আন্তরিক। কিন্তু কাশ্মীরের মতো সমস্যা না মিটলে যে দক্ষিণ এশিয়া স্থিতিশীল হবে না, তা-ও বুঝিয়েছেন তিনি। আবার সন্ত্রাস-দমনের দায় কিছুটা হলেও পরোক্ষে ভারতের মতো ‘প্রতিবেশী’র ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য বন্ধে পদক্ষেপ না হলে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে এফএটিএফ। তুরস্ক, চিন ও মালয়েশিয়ার সাহায্যে এ যাত্রা কালো তালিকাভুক্ত হওয়া এড়িয়েছে পাকিস্তান। কূটনীতিকেরা জানাচ্ছেন, এর পরে যে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে, তা জানে ইসলামাবাদ। তাই বাজওয়াার মাধ্যমে সদর্থক বার্তা দেওয়া হল। ভারতের দাবি, এফএটিএফ-এর দেওয়া সময়সীমার মধ্যে পদক্ষেপ করুক পাকিস্তান।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy