আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানো হচ্ছে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে নিয়ে বৃহস্পতিবারই ভারতে নামবে বিমান। প্রত্যর্পণের আবহে তাহাউর প্রসঙ্গে প্রথম বিবৃতি দিল পাকিস্তান সরকার। পাক বংশোদ্ভূত তাহাউরের থেকে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিবৃতিতে পাকিস্তান বোঝাতে চাইছে, ভারতে প্রত্যর্পিত হওয়া তাহাউর বর্তমানে পাকিস্তানের নাগরিক নন।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “তাহাউর রানা গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানি নথিপত্র পুনর্নবীকরণ করেননি। তিনি যে কানাডার নাগরিক, তা স্পষ্ট।” বস্তুত, তাহাউরকে ভারতে আনার পরে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে তাহাউরের মুখ থেকে মুম্বই হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ঠিক এমন সময়েই পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ীর বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল পাকিস্তান।
আদতে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হলেও তাহাউর বর্তমানে কানাডার নাগরিক। এত দিন লস অ্যাঞ্জেলেসের বন্দিশালায় আটক ছিলেন তিনি। অভিযোগ, পাক বংশোদ্ভূত আর এক সন্ত্রাসবাদী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। হেডলির সঙ্গে মিলেই ২৬/১১-র মুম্বই হামলার বিষয়টি ছকেছিলেন রানা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বার সঙ্গেও যোগ ছিল তাঁর। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি।
আরও পড়ুন:
আমেরিকার প্রশাসনও তাহাউরকে ভারতের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী হয়। পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী তাহাউর প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু। তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তবে তাহাউর বার বার প্রত্যর্পণ ঠেকাতে মার্কিন আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট তাহাউরের প্রত্যর্পণের পক্ষেই রায় দেয়।