Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
usa

Pakistan-USA: পাক আকাশ দিয়ে নজরদারি নয়, পাল্টা দাবি ইসলামাবাদের

আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমটি সম্প্রতি দাবি করে, বিশেষ সূত্র মারফত বিষয়টি তারা জানতে পেরেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২১ ০৬:০৫
Share: Save:

তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে কোনও রকম সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে কি না, তার উপরে নজরদারি এবং প্রয়োজনে যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা যায়, তাই পাকিস্তান প্রশাসনের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি করতে চলেছে আমেরিকা। ওই চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে আমেরিকা— এমনই এক খবর আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়। যদিও সেই খবরের সত্যতা খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তান প্রশাসন।

আমেরিকার ওই সংবাদমাধ্যমটি সম্প্রতি দাবি করে, বিশেষ সূত্র মারফত বিষয়টি তারা জানতে পেরেছে। এমনকি বলা হয়, জো বাইডেন প্রশাসনের তরফে সমস্ত আইনপ্রণেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে আমেরিকান সেনা। আমেরিকান গোয়েন্দারাও কার্যকলাপ চালাতে পারবে সেখানে। সংবাদমাধ্যমটির তরফে দাবি করা হয়, পাকিস্তানও চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী। পরিবর্তে আমেরিকার কাছে সন্ত্রাসদমন অভিযানে
সাহায্য এবং ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছে ইমরান খান প্রশাসনের তরফে।

পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে এমন কোনও বোঝাপড়া হয়নি। এর পরেই অবশ্য ওই মুখপাত্র জানান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসদমনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে পাকিস্তান এবং আমেরিকা। এই বিষয়ে দু’তরফে নিয়মিত কথাবার্তাও চলে।

পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার এই বিশেষ চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় আন্তর্জাতিক মহলে। প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কি তালিবান সমর্থনের অবস্থান থেকে পিছু হটছে ইমরান সরকার? প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তের কয়েকটি জায়গায় দু’তরফে মতানৈক্য দেখা গিয়েছে। যার সুবাদে সম্প্রতি তালিবানের সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। আজ আমেরিকান সংবাদমাধ্যমটির খবর প্রকাশ্যে আসার পরে এমন চর্চাও শুরু হয় যে, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সম্পর্কের অবনতির জেরেই কি এই পদক্ষেপ করছে পাকিস্তান? তবে পাকিস্তানের তরফে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার পরে অবসান হয় সমস্ত জল্পনার।

গত জুনে একটি সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে পদক্ষেপের জন্য পাকিস্তানের মাটি আমেরিকাকে ব্যবহার করতে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ইমরান বলেছিলেন, ‘‘আমেরিকার মিত্রশক্তি হিসেবে যুদ্ধে যোগ দেওয়ায় পাকিস্তানের ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষকে তার মূল্য চোকাতে হয়েছে। আমাদের ভূখণ্ড থেকে আর কোনও সেনা অভিযানে অংশ নেওয়া হবে
না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

usa pakistan Air Space
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE