—প্রতীকী চিত্র।
ভাড়াটে উচ্ছেদের জন্য প্রায় ছ’কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করল আমেরিকার সাউথ ক্যারোলাইনার আদালত। বছরে আট শতাংশ হারে সুদ-সহ ওই ক্ষতিপূরণের টাকা মামলাকারী ছাত্রকে দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট বা সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে। ভাড়ার অর্থ নেওয়ার পরেও ঘর থেকে ওই ছাত্রের জিনিসপত্র বার করে দেওয়ায় মামলা হয়েছিল।
মামলাকারী অ্যানসেল পোস্টল কলম্বিয়ার বেনেডিক্ট কলেজের স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়ে কাছাকাছি একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। দ্য রোয়ান নামে ছাত্রছাত্রীদের ওই আবাসনের তত্ত্বাবধান করে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সংস্থা ক্যাম্পাস অ্যাডভান্টেজ। ২০২২ সালের ১১ জুলাইরোয়ানের থেকে একটি ই-মেল পান অ্যানসেল। তাতে তাঁকে ১৪ দিনের মধ্যে ঘর খালি করে দিতে বলা হয়েছিল। অ্যানসেল তাঁর মাকে বিষয়টি জানানোয় তিনি রোয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, তাঁর ছেলে চুক্তির পুনর্নবীকরণ করবেন। ফলে ঘরের থেকে জিনিসপত্র সরাবেন না। ১৮ জুলাই অ্যানসেলের মা পরবর্তী ছ’মাসের ভাড়া বাবদ ৩৮১০ ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায়তিন লক্ষ ২০ হাজার টাকার কিছুবেশি) চেক পাঠান রোয়ান কর্তৃপক্ষকে। এক সপ্তাহ পরে সেটা ভাঙানোও হয়।
অভিযোগ, নতুন সিমেস্টার শুরুর পরে, ওই বছর ৫ অগস্ট অ্যানসেল কলম্বিয়ায় ফিরে আবাসনে গিয়ে দেখতে পেয়েছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র ঘর থেকে উধাও। মামলায় দাবি করা হয়েছে, অ্যানসেলের মা এর পরে যোগাযোগ করেছিলেন রোয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আবাসন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মেনেও নেন, তাঁর ছেলের জিনিসপত্র ‘অন্যায্য ভাবে সরানো হয়েছে এবং ঠিক ভাবে না রাখার ফলে সেগুলি নষ্টও হয়ে গিয়েছে’। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ রোয়ানের প্রতিনিধিদের থেকে অ্যানসেলের মা আশ্বাস পান, জিনিসগুলি নতুন কিনে দেওয়া হবে, নয়তো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
কার্যক্ষেত্রে তা না হওয়ায় ২০২২ সালের ২৩ অগস্ট কোর্টের দ্বারস্থ হন অ্যানসেল। অভিযোগ করেন, আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে খুঁটিনাটি জিনিসপত্র ফের জোগাড়ের ঝঞ্ঝাট ও উদ্বেগের মধ্যে ফেলা হয়েছে তাঁদের। বলা হয়, এতে অ্যানসেলের মানসিক ক্ষতিও হয়েছে। প্রভাব পড়েছে পড়াশোনায়। পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হতে পারে, হাতছাড়া হতে পারে একাধিক জলপানি, এমন দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
চার দিনের শুনানির পরে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার রায় হয়েছে। বলা হয়েছে, মামলাকারীর জিনসপত্র নষ্ট ও চুক্তিভঙ্গের দায় বর্তায় ক্যাম্পাস অ্যাডভান্টেজের উপরে। অসদুপায়ে ব্যবসা সংক্রান্ত সাউথ ক্যারোলাইনার আইনেও ওই সংস্থাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অ্যানসেলের প্রতি কর্তব্যে এবং কর্মচারী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে তাদের গাফিলতি ছিল, তা-ও বলেছে আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাত লক্ষ আমেরিকান ডলার ক্ষতিপূরণ অন্যাসেলকে দিতে। এই রায়ে তিনি খুশি বলে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অ্যানসেল। রোয়ান কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy