বিক্ষোভ ইরানে। ফাইল চিত্র।
মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভের আগুন নিভছেই না ইরানে। নীতিপুলিশের হাতে ২২ বছর বয়সি তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তাল তেহরান। বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ৭০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ৬০ জন মহিলা।
ইরানে কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন মাহশা। সে সময় পথে তাঁকে আটকায় নীতিপুলিশ। অভিযোগ, হিজাব ঠিকমতো না পরায় তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় নীতিপুলিশের দল। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন ইরানের বহু মহিলা। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও কেউ কেউ দাবি করেছেন, মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপি, ইনস্টাগ্রামের মতো একাধিক সমাজমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানী তেহরানে বিক্ষোভের নানা ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে রয়েছে। সন্ধ্যার পর তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীদের জমায়েত হচ্ছে। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কুশপুতুল এবং হিজাব পুড়িয়েও প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি পোড়ানো হয়েছে পুলিশের গাড়িও।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মাহশার। এমন দাবি করেছে ইরানের প্রশাসন। কিন্তু তাঁর পরিবারের দাবি, ওই তরুণীর আগে হৃদ্রোগ সংক্রান্ত কোনও লক্ষ্মণই ছিল না। মাহশার বাবা আমজাদ আমিনি বলেছেন, ‘‘ওরা (প্রশাসন) মিথ্যা কথা বলছে। সব মিথ্যা...। আমি কত যে কাকুতিমিনতি করেছি, কী বলব। আমার মেয়েকে দেখতে দেয়নি ওরা।’’
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইস বলেছেন, সে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু যে ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy