প্রতীকী ছবি।
এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে সবচেয়ে বেশি ত্রাস ছড়াচ্ছে যে, সেটি হল করোনার ভারতীয় স্ট্রেন বা বি১.৬১৭। অন্তত ১৭টি দেশে খোঁজ মিলেছে তার। তবে সেই ভয়ঙ্কর মিউট্যান্ট ভাইরাসকেও জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে ভারতে তৈরি করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন। সম্প্রতি কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক এই দাবি করেছিল। মঙ্গলবার সেই দাবির সমর্থনে মুখ খুললেন আমেরিকার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি।
এ দিন হোয়াইট হাউসে করোনা সংক্রান্ত একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘এই (বি১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট) সম্পর্কে আমরা রোজ নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করছি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ভারতে তৈরি কোভ্যাক্সিন এই ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে সক্ষম।’’ ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থার মোকাবিলায় টিকাকরণ ভীষণ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।’’ গত ২১ এপ্রিল ভারত বায়োটেক দাবি করেছিল, করোনাভাইরাস রুখতে কোভ্যাক্সিন ৭৮ শতাংশ কার্যকর। গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকর এই টিকা। পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তির আশঙ্কাও তা কমিয়ে আনতে সক্ষম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, গত ৯ সপ্তাহ ধরে একটানা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। ভারতের মতো কোনও কোনও দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড বিধি পালন এবং দ্রুত গণটিকাকরণের উপরেই আস্থা রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড’ বলে একটি সংস্থা জানিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেক বা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার টিকার যে কোনও একটি ডোজ় নিলেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা অন্তত ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। তাঁদের পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতিষেধক নেওয়ার অন্তত ১৪ দিন পরে কেউ সংক্রমিত হলেও তাঁর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy