জিলিপির চাহিদা বড়তেই বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
রথের মেলায় গেলে জিলিপি না খেলে কিছু একটা যেন অপূর্ণ থেকে যায়। মেলায় যাবেন, আর জিলিপি বা পাঁপড় খাবেন না, এমনটা হয় নাকি! তাই দাম প্রতি কেজিতে ৭০, ৮০ কিংবা ১০০ টাকা হোক না কেন, জিলিপির স্বাদ নিতেই হবে!
মেলায় কিংবা মিষ্টির দোকানে সর্বোচ্চ কত দামের জিলিপি খেয়েছেন? ১০০ কিংবা খুব যদি বেশি হয় ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। কিন্তু এক কেজি জিলিপির দাম যদি হাজার হাজার টাকা হয় তা হলে? আড়াই প্যাঁচের ওই মিষ্টির দাম এত হতে পারে, সেটা কল্পনাতেও হয়তো আসবে না। কিন্তু বাস্তবেই তেমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতি কেজি জিলিপি বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকায়। শুনে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই হয়েছে বাংলাদেশের একটি রেস্তরাঁয়।
বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বহুমূল্যবান জিলিপি বিক্রি করেছে ঢাকার একটি বিলাসবহুল হোটেল। সমাজমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন এই মহামূল্যবান জিলিপির কথা। কিন্তু কেন এত দাম? এই জিলিপির বিশেষত্বই বা কী?
‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই জিলিপিতে রয়েছে ২৪ ক্যারাটের খাদ্যোপযোগী ২০-২২টি সোনার পাতা। এক জন গ্রাহকের জন্য ২৫০ গ্রাম জিলিপি বরাদ্দ। গত ৪ এপ্রিলে দেওয়া এই বিজ্ঞাপন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা ঢাকায়। জিলিপির চাহিদাও বেড়েছিল হু হু করে। বেশ কয়েক দিন বিক্রির পর হোটেল কর্তৃপক্ষ আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেন, ‘‘অর্ডার নেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’ কিন্তু চাহিদা থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ এমন কেন সিদ্ধান্ত? এ প্রসঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জিলিপির জন্য যে পরিমাণ খাদ্যোপযোগী সোনা ছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন কোনও বরাত নেওয়া হচ্ছে না। বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সোনায় মোড়ানো জিলিপি কত কেজি বিক্রি হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি হোটেল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy