ইজ়রায়েলি সেনার ডেরায় হামাসের ড্রোন হামলা। ছবি: সংগৃহীত।
হামাসের রকেট হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন, দ্রুত হামাসের ডেরাগাজ়া ভূখণ্ডের দখল নেবেন তাঁরা। প্যালেস্তেনীয়দের দ্রুত গাজ়া ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। কিন্তু চার দিন পরেও ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ আর ৫ কিলোমিটার প্রস্থের একচিলতে জমিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে পারেনি তেল আভিভ।
পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের খবর, গাজ়া সীমান্তে দু’লক্ষের বেশি ইজ়রায়েল সেনা মোতায়েন রয়েছে। রয়েছে বিশাল ট্যাঙ্ক এবং গোলন্দাজ বাহিনীও। কিন্তু তুলনায় অনেক কমজোরি অস্ত্রধারী হাজার চল্লিশেক হামাস যোদ্ধার বিরুদ্ধে এখনও সর্বাত্ম লড়াই শুরুই করতে পারেনি তারা। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের বিস্ফোরকবাহী ছোট্র ড্রোনের কেরামতি দেখেই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার।
রকেট এবং প্যারাগ্লাইডার বাহিনীর পাশাপাশি সে দিনের হামলায় ওই ড্রোনও ব্যবহার করেছিল হামাসের আল কাসিম ব্রিগেড। বিস্ফোরক বোঝাই ওই ছোট্ট ড্রোনগুলি সহজেই রাডারের নজরদারি এড়িয়ে ‘আত্মঘাতী’ হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডে। তার পরে গত ৭২ ঘণ্টায় ইজ়রায়েল সেনার বিশ্বখ্যাত কয়েকটি মেরকাভা ট্যাঙ্কও ধ্বংস করেছে হামাসের খুদে ড্রোনের বাহিনী। তছনছ করেছে উপগ্রহ সংযোজক টাওয়ার। আর তার পরেই গাজ়া সীমান্তে শ্লথ হয়ে গিয়েছে নেতানিয়াহু ফৌজের অগ্রগতি।
ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ’-এর (আইএনএনএস) গবেষক লিরান আনতেবি বুধবার বলেন, ‘এ ধরনের ড্রোনের প্রযুক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খুব সরল। শিশুরাও তা ব্যবহার করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে।’’ বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের কোনও ভাল দোকানে মেলা যন্ত্রাংশ কিনেই তা তৈরি করা সম্ভব। আর সেই ড্রোনবাহী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক? পশ্চিমী শক্তির অনুমান, হামাসকে তা জুগিয়েছে ইরান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy