ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকায় ভোটের মুখে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে কর ফাঁকি দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সংবাদপত্রটি আরও জানিয়েছে, ট্রাম্প শেষবার কর দিয়েছিলেন ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে। তাদের বক্তব্য, ট্রাম্প ওই দু’বছর যে টাকা আমেরিকায় কর দিয়েছিলেন তার বহু গুণ বেশি অর্থ ভারতে কর হিসাবে মিটিয়েছিলেন। এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ দাবি করেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর সংক্রান্ত বিপুল তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। রবিবার সংবাদপত্রটির একটি রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ২০১৬ এবং ২০১৭— এই দু’বছরের প্রতিবারই আমেরিকায় তিনি কর দিয়েছিলেন ৭৫০ ডলার করে, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় তা ৫৫ হাজার টাকার কিছু বেশি। ২০১৬ সালেই ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন ট্রাম্প। অথচ সেই ট্রাম্প বা তাঁর সংস্থার তরফে ২০১৭ সালে ভারতে কর মেটানো হয়েছে প্রায় এক লক্ষ সাড়ে ৪৫ হাজার ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় এক কোটি টাকারও বেশি। নভেম্বরে আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সে দিকে লক্ষ রেখেই মঙ্গলবার ডেমোক্র্যাটদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে বিতর্কে নামতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ঠিক আগেই কার্যত বোমা ফাটিয়েছে ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’।
সংবাদপত্রটি তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে এই যুক্তি দেখিয়ে গত ১৫ বছরের মধ্যে অন্তত ১০ বার কর দেননি ট্রাম্প। ভোটের মুখে নয়া বিতর্কে স্বাভাবিক ভাবেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও এই অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই রিপোর্ট সর্বৈব মিথ্যা।’’ কর সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য নন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর রিপোর্টে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ব্যতিক্রমী ঘটনা। প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের সময় থেকেই এই তথ্য জানানো প্রথা হিসাবে চলে আসছে।
আরও পড়ুন: ডক্টর হাজরা কে? জবাব খুঁজছে গোটা পরিবার
আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিব হচ্ছেন আলাপন, বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল নবান্ন
কিন্তু সেই প্রথায় ট্রাম্প প্রথম ছেদ টেনেছেন বলে অভিযোগ। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’-এর অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে আরও তথ্য। সংবাদপত্রটি দাবি করেছে, কর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আইনি লড়াইও চালিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy