—ফাইল চিত্র।
তাদের তৈরি টিকা দেওয়ার পরই রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ছে। গত কয়েক দিন ধরেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠছে। এ বার তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে দাবি করল, টিকা নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তার পিছনে কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই।
এক বিবৃতি দিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, রক্ত জমাট বাঁধার কোনও ঘটনা সামনে আসেনি।
রক্ত জমাট বাঁধার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং অস্ট্রিয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু টিকার কারণেই রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটছে, এ কথা মানতে নারাজ অ্যাস্ট্রাজনেকা।
ব্রিটিশ সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পিটার ইংলিশ বলেন, “এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বহু দেশ এই টিকার ব্যবহার স্থগিত করে দিয়েছে। এতে টিকাকরণ কর্মসূচির উপর গুরুতর প্রভাব পড়বে। এই কর্মসূচির গতিও মন্থর হয়ে পড়বে।”
সুইডেনের এই সংস্থা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে বানিয়েছে কোভিশিল্ড নামে এই টিকা। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদন হচ্ছে এই টিকা। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের এই সমস্ত রিপোর্ট সামনে আসার পর বিষয়টির উপর ‘তীক্ষ্ণ নজর’ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টিকাকরণের বিপ্রতীপ প্রভাব বিষয়ক কমিটির প্রধান নরেন্দ্র অরোরা। তাঁর কথায়, “কিছু দেশে এই টিকার সাময়িক স্থগিতাদেশের বিষয়ে আমরা অবহিত। কোভিশিল্ড নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি এবং রক্ত জমাট সম্পর্কিত বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখছি।’’ যদিও এই টিকার ব্যবহার বন্ধের পথে যে ভারত হাঁটছে না, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy