শ্রীলঙ্কার উপকূলে নিউ ডায়মন্ড জাহাজে জ্বলছে আগুন। ছবি: পিটটিআই
বৃহ্স্পতিবার থেকে মাঝ সমুদ্রে জ্বলছিল অশোধিত তেল ভর্তি জাহাজ। ভারত-শ্রীলঙ্কার বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় রবিবার সেই আগুন নিভেও গিয়েছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলে থাকা ওই জাহাজে ফের আগুনের শিখা দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার আবার আগুন নেভানোর রাসায়নিক চেয়ে পাঠাল শ্রীলঙ্কা। সেই অনুযায়ী ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে এই রাসায়নিক পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে আশার কথা জাহাজ থেকে এখনও তেল লিকেজের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে ভবিষ্যতে যে এমন সম্ভাবনা নেই, তেমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
কুয়েত থেকে ভারতের পারাদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয় সুপার ট্যাঙ্কার জাহাজ ‘নিউ ডায়মন্ড’। বিশালাকার এই জাহাজে রয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টন অশোধিত তেল। এ ছাড়া জাহাজের নিজস্ব জ্বালানি হিসেবে রয়েছে ১ হাজার ৭০০ টন ডিজেল। গত বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় গ্রাম সঙ্গমানকান্ডা থেকে ৫৫ কিলোমিটার সমুদ্রের অভ্যন্তরে বয়লার রুমে বিস্ফোরণের জেরে জাহাজটিতে আগুন লেগে যায়। তাতে ফিলিপিন্সের এক কর্মীর মৃত্যু হয়। তবে জাহাজের ক্যাপ্টেন-সহ বাকি ২২ জনকে উদ্ধার করে শ্রীলঙ্কার উপকূলরক্ষী বাহিনী।
কিন্তু জাহাজের আগুন নেভাতে কার্যত ব্যর্থত হয়ে তাঁরা ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য চায়। সেই মতো বেশ কয়েকটি অগ্নিনির্বাপণ ভেসেল নিয়ে নিয়ে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। মোট ১৯টি ভেসেলের সাহায্যে রবিবার আগুন নিয়ন্ত্রণেও এনে ফেলা সম্ভব হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সোমবার সমুদ্রের হাওয়ায় জাহাজ থেকে ফের ধোঁয়া ও আগুনের শিখা বেরোতে দেখে ফের ভারতীয় বাহিনীকে রাসায়নিক পাঠানোর জন্য বলা হয়। আজই সেই রাসায়নিক নিয়ে অগ্নিদগ্ধ জাহাজের কাছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিপর্যয় মোকাবিলা দল পৌঁছে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনাথকে প্যাংগংয়ের রিপোর্ট দিলেন সেনাপ্রধান, উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সম্ভাবনা
অন্য দিকে জাহাজের গ্রিসের মালিক সংস্থাটি ছ’জন উদ্ধারকারী ও ১১ জন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দলকে সোমবার জাহাজের ওই এলাকায় উড়িয়ে এনেছে। ডাচ উদ্ধারকারী ওই সংস্থা এসএমআইটির বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জাহাজের উপরের অংশ এখনও প্রচণ্ড গরম এবং নামার পক্ষে অনুকূল নয়। জল ছিটিয়ে ঠান্ডা করার পর তাঁরা ডেকে পৌঁছতে পারবেন এবং কী অবস্থায় রয়েছে জাহাজটি, তা জানাতে পারবেন। পাশাপাশি, জাহাজটিকে নিরাপদ জায়গায় টেনে নিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন ওই বিশেষজ্ঞ দলটি।
আরও পড়ুন: ‘লাদাখের পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর’, প্রভাব ফেলবে সম্পর্কে, মস্কো বৈঠকের আগে বললেন জয়শঙ্কর
কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দূষণের বিষয়টি। জাহাজে যে বিপুল পরিমাণ অশোধিত তেল রয়েছে, তা লিক করে জলে মিশতে শুরু করলে ভয়াবহ দূষণের কবলে পড়বে সমুদ্র। তবে ওই বিশেষজ্ঞরা জানয়িছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত তেল লিক হওয়ার কোনও খবর নেই। তবে সেই পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে।’’অন্য দিকে শ্রীলঙ্কার মেরিন এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন এজেন্সি (মেপা) ওই জাহাজ পরিদর্শন করবে। সেখান থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে তেল লিক হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি জাহাজের মালিক সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে মেপা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy