বছর তিনেক আগে আকাশপথে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মালিকের। ছবি: সংগৃহীত।
নেপালের পোখরা বিমানবন্দরের কাছে যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে, সেই বিমান সংস্থার ইতিহাসেও রয়েছে দুর্ঘটনার ছায়া। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মালিক বছর তিনেক আগে আকাশপথে এমনই এক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মালিকের নাম ছিল অ্যাং শেরিং শেরপা। ইয়েতির পাশাপাশি নেপালের আরও এক জনপ্রিয় বিমান সংস্থা তারা এয়ারলাইন্সের মালিকানা ছিল তাঁর। ২০১৯ সালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেপালের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী অন্য কয়েক জন মন্ত্রীকে নিয়ে তেরথুম জেলায় নতুন বিমানবন্দর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে হেলিকপ্টারে ছিলেন অ্যাং শেরিংও।
৬ জনকে নিয়ে ভোর ৬টা নাগাদ হেলিকপ্টারটি আকাশে ওড়ে। গন্তব্য থেকে ফেরার পথে বেলা দেড়টা নাগাদ একটি পাহাড়ের উপর ভেঙে পড়ে কপ্টার। পাইলট-সহ কপ্টারে থাকা সকল যাত্রী এই দুর্ঘটনায় মারা যান। দাবি, ওই কপ্টারটিতে পাঁচ জনের বসার জায়গা ছিল। তাতে উঠেছিলেন ছ'জন। একেও দুর্ঘটনার নেপথ্য কারণ হিসাবে দেখেন কেউ কেউ।
ইয়েতি এবং তারা এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি নেপালের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানের মালিকও ছিলেন অ্যাং শেরিং।
রবিবার ৭২ জনকে নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখরা আসার পথে ভেঙে পড়ে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর-৭২ বিমান। এখনও পর্যন্ত ৬৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকিরা নিখোঁজ। বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy