ভ্লাদিভস্তকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির বিন মহম্মদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিটিআই
লোহা গরম রয়েছে। এখনই হাতুড়ি মারলে ফল পাওয়া যাবে। মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেওয়া বিতর্কিত ইসলামি ধর্মগুরু জাকির নায়েকের দেশে প্রত্যর্পণ সম্পর্কে এমনটাই মনে করছে নয়াদিল্লি। আর সেই লক্ষ্যে আজ রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির বিন মহম্মদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইস্টার্ন ইকনমিক ফোরাম-এর ফাঁকে হওয়া এই বৈঠকের পরে বিদেশসচিব বিজয় গোখলে বলেছেন, ‘‘আলোচনায় জাকির নায়েককে ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দু’দেশই একমত হয়েছে যে, যে হেতু এটি ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তাই এই নিয়ে ভারত এবং মালয়েশিয়ার অফিসারেরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে থাকবেন।’’
২০১৬ সালে ভারত থেকে পালিয়ে মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়ায় বহাল তবিয়তেই ছিলেন নায়েক। তাঁকে ফেরত পাওয়ার জন্য নয়াদিল্লি বারবার দরবার করলেও বরফ গলেনি। কিন্তু সম্প্রতি সে দেশের সরকারের রোষে পড়েছেন নায়েক। গত মাসের ৮ তারিখ একটি সভায় সেখানে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দু এবং চিনা বংশোদ্ভূত নাগরিকদের উদ্দেশে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন তিনি। তা নিয়ে তাঁকে এক দফা জেরাও করে পুলিশ। তার পরই জাকির নায়েকের বক্তৃতার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায় মালয়েশীয় সরকার। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। নয়াদিল্লি চাইছে, এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নায়েককে ফিরিয়ে আনতে।
আজকের বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে মোদী কাশ্মীর নিয়ে দিল্লির সিদ্ধান্তের বিষয়গুলি জানান। বিজয় গোখলের কথায়, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরকে নতুন করে সাজানোর পিছনে যে কারণগুলি রয়েছে, তা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। দক্ষতর প্রশাসন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কাশ্মীরকে উপহার দেওয়াটাই যে লক্ষ্য, সে কথা মহাথিরকে বলেছেন মোদী। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা নিয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।’’
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র সঙ্গেও পার্শ্ববৈঠক করেছেন মোদী। সেখানে দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলির পাশাপাশি অগ্রাধিকার পেয়েছে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমন্বয়। আগামী মাসেই ভারত-জাপান এবং আমেরিকার ত্রিদেশীয় মালাবার নৌ মহড়া হতে চলেছে। ওই এলাকায় চিনের একচেটিয়া সমুদ্র আধিপত্যের বিরুদ্ধে জোট গড়তে সক্রিয় ভারত এবং জাপান দু’দেশই। নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য— দুই ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক আইন মেনে মুক্ত ও অবাধ বাণিজ্যের কথা বলছে ভারত ও জাপান। আজকের বৈঠকে বাণিজ্যের সঙ্গে ওই অঞ্চলে নিরাপত্তার দিকটি নিয়েও কথা হয়েছে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy