গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
একই দিনে, কিছুটা সময়ের ব্যবধানে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতা করতে উঠবেন নরেন্দ্র মোদী এবং ইমরান খান। কাশ্মীর নিয়ে গত এক মাস ধরে চলা কূটনৈতিক টানাপড়েন এবং বাক্-যুদ্ধের মধ্যে এই ‘সম্মুখসমর’ কৌতূহলের কেন্দ্রে আসতে চলেছে এ মাসের শেষে।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় প্রথমে ভাষণ দেবেন মোদী। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বনেতাদের সামনে এই প্রথম মোদীর ভাষণ। মোদীর পরেই বক্তব্য রাখবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও কোনও কোনও সূত্রের দাবি, নরেন্দ্র মোদী না ইমরান খান— কে আগে ভাষণ দেবেন, তা এখনও স্থির করা হয়নি। তবে গত মাসের গোড়ায় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার পর এই প্রথম রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে এই দুই নেতা। স্বাভাবিক ভাবেই এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে এক দিকে মোদী যেমন আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা করেছেন। অন্য দিকে, ইমরান খানও এ নিয়ে সরব হয়েছেন। এই ইস্যুতে গত এক মাসে বার বারই আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। যদিও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেননি। এমনকি, নিজেকে কাশ্মীরিদের ‘প্রতিনিধি’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে বিশ্বের দরবারে উপত্যকার মানুষদের কথা তুলে ধরবেন বলেও আগেই মন্তব্য করেছিলেন ইমরান। ওই সভার আগে ইতিমধ্যেই তিনি জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলবেন তিনি। অন্য দিকে, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই রাশিয়ার সমর্থন পেয়েছে ভারত। এবং এটি যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তা বার বারই বুঝিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। ফলে সে দিনের সাধারণ সভায় ভারত-পাক, দু’দেশই যে কাশ্মীর প্রসঙ্গে নিজেদের পক্ষ সমর্থনে জোরাল সওয়াল করবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক-কৌশল ভেস্তে দিতে প্রস্তুত ভারত
আরও পড়ুন: পার্সেলে কাঁচা মাংস, ধন্দে হংকং পুলিশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy