বোবোকুলোভা
প্রায় আট মাস পর শিশু হত্যার দায় স্বীকার করল মস্কোর অভিযুক্ত ন্যানি।
সে দিনের কথা মনে পড়ে গেলেই শিউরে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। মেট্রোর বাইরে কালো পোশাক পরা এক মধ্যবয়স্ক মহিলা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর হাতে মুঠো করে ধরা এক শিশুর রক্তাক্ত মুণ্ড।
ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয় উজবেকিস্তানের ৪০ বছরের বোবোকুলোভাকে। সূত্রের খবর, সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত চার বছরের অ্যানাস্টেশিয়ার দেখাশোনার কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল ওই ন্যানিকে। গ্রেফতারির পরে ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে পুলিশ জানতে পারে, শিশুটিকে প্রথমে গলা টিপে খুন করা হয়েছে। তার পর ধড়-মুণ্ড আলাদা করা হয়। রাস্তায় বেরোনোর আগে শিশুর মুণ্ডহীন শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা পরে পুলিশকে জানান, ওই অবস্থায় প্রায় ২০ মিনিট ধরে রাস্তায় ঘুরেছিল ওই মহিলা। কেউ এগোতে গেলেই বলেছেন, তাঁর কাছে বিস্ফোরক আছে। যে কোনও সময় সব উড়িয়ে দেবেন।
শুধু তাই নয়, শুনানির প্রথম দিনে খুনের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে নির্বিকার ভাবে আদালতে সে বলে, ‘‘সব আল্লার নির্দেশ ছিল।’’ পরে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত ওই ন্যানি নিজেই প্যারানয়েড স্কিৎজোফ্রেনিয়ার রোগী। মস্কো জেলের মানসিক হাসপাতালে তাকে রাখা হয়েছে। আট মাস পরে মঙ্গলবার সে খুনের দায় স্বীকার করে। যদিও খুনের ব্যাপারে সে কোনও তথ্য দেয়নি বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে শুধু বলে, ‘‘আমি দোষী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy