নাহিদ ইসলাম। ছবি: রয়টার্স।
কোটা আন্দোলন ও তার পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা। নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব। তাঁর চোখে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর রূপরেখা কেমন হবে, মন্ত্রক বণ্টনের পর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন নাহিদ। তিনি চাইছেন, বাংলাদেশে এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েম হোক, যাতে পদ্মাপারে ‘স্বৈরতন্ত্র’ আর ফিরে না আসে।
প্রথম আলো-কে তিনি বলেন, “আমরা এমন এক রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে আসতে চাই, যেখানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।” উল্লেখ্য, জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে প্রচুর সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই পরিবর্তন এনেছেন তাঁরা, সেই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করতে চাইছেন নাহিদ। তাঁর আশ্বাস, অন্তর্বর্তী সরকার সেই প্রতিশ্রুতিপূরণের লক্ষ্যেই কাজ করবে।
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাকে অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের উপদেষ্টা। একই সঙ্গে পুলিশি ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পুনর্গঠনের দিকটিও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস নাহিদের। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকালের মেয়াদ কত দিনের হবে, কবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়গুলি স্পষ্ট করেননি তিনি। নাহিদের বক্তব্য, দ্রুত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চান তাঁরা। তবে দেশে গণতন্ত্র ফেরানো ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য কিছু সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সেই সংস্কারের রূপরেখা তৈরি হবে। তিনি জানান, এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে যে সময় লাগবে, সেই মতো অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকালের মেয়াদ স্থির হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy