Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Corona

নতুন স্ট্রেনে সংক্রমণ বাড়ছে আফ্রিকাতেও

চিকিৎসক-গবেষকদের আক্ষেপ, মিউট্যান্ট স্ট্রেনগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে সে কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
কেপ টাউন শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৪৩
Share: Save:

বিশ্বে সাড়ে ১৪ কোটি সংক্রমণ। ৩০ লক্ষের উপরে মৃত্যু। দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। কারণ অবশ্যই ভারত। সার্বিক চিত্র অনুযায়ী, এখনও প্রথম স্থানে আমেরিকা। দ্বিতীয় সংক্রমণ ঢেউ সামলে ইউরোপ কিছুটা সুস্থ হওয়ার পথে। এর মাঝে যার খবর সবসময়ই সবচেয়ে কম, সে হল আফ্রিকা। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এ মহাদেশেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেনের জন্ম হয়েছে আফ্রিকাতেও। যার জেরে সংক্রমণ ও মৃত্যু, দুই-ই বেড়েছে।

চিকিৎসক-গবেষকদের আক্ষেপ, মিউট্যান্ট স্ট্রেনগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য যথেষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে সে কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে না। এ দিকে, সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। আফ্রিকার অধিকাংশ দেশেই দ্বিতীয় সংক্রমণ ঢেউ আছড়ে পড়েছে। কেনিয়া, মিশর, তিউনিশিয়ার মতো কিছু দেশ তৃতীয় ঢেউয়ে ডুবে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, এর কারণ নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন।

গত বছর একটি স্ট্রেন তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। শুধু ওই দেশ নয়, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, ক্যামেরুন, কোমোরোস, কঙ্গো, গাম্বিয়া, ঘানা, কেনিয়া, মরিশাস, নামিবিয়া, রাওয়ানডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবোয়ে-সহ আফ্রিকায় ওই অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে স্ট্রেনটি। রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ, আফ্রিকার আরও অনেক দেশে হয়তো ছড়িয়ে পড়েছে স্ট্রেনটি।

কিন্তু তা জানার জন্য প্রয়োজন জিনোমিক সিকোয়েন্সিং। আফ্রিকার হাতে গোণা কিছু দেশেই সেই ব্যবস্থা রয়েছে। নাইজিরিয়ায় যেমন জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ে নতুন একটি স্ট্রেন ধরা পড়েছে। কিন্তু তার থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির কোনও লক্ষণ মেলেনি আপাতত। তাই কিছুটা নিশ্চিন্ত।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলির পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আফ্রিকায় এ পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্যা ৪৫ লক্ষ। প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৫৫ জন। কিন্তু সামগ্রিক চিত্রের অনেকটাই হিসেবের বাইরে। হু-র ‘আফ্রিকান সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত বছর শেষের দিকে একটি ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছিল। পুনরায় সেই ‘জিনোমিক সারভেইল্যান্স’ শুরু করা প্রয়োজন। কিন্তু সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট’ জার্নালের একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে গোটা প্রক্রিয়াটি চালু করা দরকার হলেও প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। প্রয়োজনীয় সামগ্রী নেই। দক্ষ কর্মী নেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Corona COVID-19 coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy