প্রতীকী ছবি।
ফের একবার ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানল ধনকুবেরের দেশ। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ফের চরম হেনস্থার শিকার হলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ছাত্রী। ভরা ক্লাসে তাঁর হিজাব খুলে ফেলে দিয়ে চুল ধরে সজোরে টান মারা হল তাঁকে। এই ঘটনা ঘটালেন তাঁরই এক সহপাঠী। যার পর মিনেসোটার ওই স্কুলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস্ (সিএআইআর)। কেন ওই ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করা হল দ্রুত তদন্ত করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সিএআইআর।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মিনেসোটার নর্থডেল মিডল স্কুলে। ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, একটা ক্লাস সম্পন্ন হওয়ার পরেই আচমকা এক সহপাঠী তাঁর পিছনে এসে দাঁড়ান। তারপর তাঁর হিজাব টেনে খুলে মাটিতে ফেলে দেন। এর পর সকলের সামনেই ছাত্রীর চুল ধরে সজোরে টান দেন। প্রতিবাদ করলেও তাঁর পাশে কেউই দাঁড়াননি। উপরন্তু তা নিয়ে হাসাহাসি চলছিল ক্লাস জুড়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েও কোনও সুফল পাওয়া যায়নি। এর পরই সিএআইআর-এর দ্বারস্থ হয় ওই ছাত্রীর পরিবার। মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে এক নোটিস জারি করে সিএআইআর মিনেসোটার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জয়লানি হুসেন বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। নচেৎ স্কুলে পড়াশোনার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখা যাবে না।’’
শুধু এই ঘটনাই নয়, আমেরিকার নব-প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই এই ধরণের একাধিক ঘটনা ঘটে চলেছে। গত সপ্তাহেই জর্জিয়ার এক মুসলিম হাইস্কুল শিক্ষিকাকে চিঠিতে তাঁরই হিজাব গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করতে বলা হয়েছিল। এর কিছু দিন পরেই মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুসলিম ছাত্রী হিজাব না খোলায় তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy