বাংলাদেশে বর্তমানে অন্তত ১০টি ব্যাঙ্ক তীব্র আর্থিক ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোমবার সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সমাজমাধ্যমের পাতায় এ কথা জানানো হয়। রবিবার বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। ওই বৈঠকেই তাঁর কাছে এই তথ্য তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রক। ইউনূসের সমাজমাধ্যমের পাতায় দাবি করা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে আর্থিক খাতে অব্যবস্থার কারণেই ব্যাঙ্কগুলি এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে।
ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঋণ খেলাপের কারণে সে দেশের আর্থিক খাতে উল্লেখ্যযোগ্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল মোট ঋণের ৬.১২ শতাংশ। হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ১৬.৯৩ শতাংশে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুসারে বাংলাদেশে মোট খেলাপি ঋণের অঙ্ক ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম অবশ্য রবিবার জানিয়েছেন, গত বছরের অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে সে দেশের অর্থনীতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’ অনুসারে ইউনূসের প্রেসসচিব বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের আগস্ট-ডিসেম্বর এই ৫ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে।” বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ অনুসারে শফিকুল জানান, মূল্যস্ফীতি এক সময় ১২ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। বর্তমানে তা কমিয়ে ৯ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমের পাতায় ইউনূস জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কগুলির সুশাসন নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের লুঠ হওয়া অর্থ উদ্ধারের জন্য ব্যাঙ্কের আইন বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে।