ছিলেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চিকিৎসক। সেই তাহাউর রানার নাম কী ভাবে জড়িয়ে গেল ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে? মুম্বই হামলার তদন্তে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আতশকাচের তলায় চলে আসে রানার ভূমিকা। তদন্তে উঠে আসে, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন সন্ত্রাসবাদী ডেভিড কোলম্যান হেডলিকে ভারতে আসার ভিসা পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন রানা। অভিযোগ, রানা যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বার সঙ্গে যুক্ত, সে সম্পর্কে অবহিত ছিলেন রানা। কেবল তা-ই নয়, ভারতের নানা জায়গায় আলোচনা চালাতে বন্ধু হেডলিকে পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।
ইসলামাবাদে বড় হওয়া রানার সঙ্গে হেডলির আলাপ হয়েছিল কলেজে পড়তে এসে। পেশায় চিকিৎসক রানা পরে পাক সেনাবাহিনীর ডাক্তার হন। ১৯৯৭ সালে পাক সেনার মেজর হিসাবে অবসরগ্রহণ করে কানাডা উড়ে যান তিনি। পরে সে দেশের নাগরিকত্ব পান তিনি। আরও পরে আমেরিকার শিকাগোয় ডেরা বাঁধেন রানা। সেখানেই খোলেন নিজের ‘ভিসা এজেন্সি’।
রানাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনআইএ। এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার নেপথ্যে আর কাদের হাত ছিল, পাক সেনারও সক্রিয় সহযোগিতা ছিল কি না, তা অনেকটা স্পষ্ট হতে পারে রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর। ২০০৮ সালে ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার কিছু দিন আগে কেন রানা সস্ত্রীক ভারতের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলেন, সেই রহস্যেরও কিনারা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গ্রেফতারের ১৬ বছর পর রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে আমেরিকা। সূত্রের খবর, তাঁকে নিয়ে ভারতে বিমান নামার পরই গ্রেফতার করবে এনআইএ। তার পর তাঁকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হবে। নেওয়া হতে পারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। সূত্রের খবর, রানাকে প্রাথমিক ভাবে তিহাড় জেলে রাখা হবে। রানাকে ভারতের প্রত্যর্পণের পুরো প্রক্রিয়াটি নজর রেখেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এ ছাড়া এনআইএ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকেরাও বিষয়টিতে যুক্ত ছিলেন।