Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Muhammad Yunus

সংস্কার করবেন তাঁরাই, ভাষণে ঘোষণা ইউনূসের

গণবিক্ষোভে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে ৮ অগস্ট প্যারিস থেকে ঢাকায় ফিরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ইউনূস।

মুহাম্মদ ইউনূস।

মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৮
Share: Save:

জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, সংবিধান এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা করলেন মুহাম্মদ ইউনূস। গণবিক্ষোভে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে ৮ অগস্ট প্যারিস থেকে ঢাকায় ফিরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ইউনূস। সেই সরকারের এক মাস উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এই ৬টি ক্ষেত্রে সংস্কারের গতিমুখ নির্ধারণের জন্য ৬টি কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেন। ইউনূস দাবি করেন, এই সংস্কারের ফলে জাতি এগিয়ে যাবে এবং দেশ একটি শক্তপোক্ত গণতন্ত্রের ভিতের উপরে প্রতিষ্ঠিত হবে।

তবে আগের শাসক দল আওয়ামী লীগের মতে, সর্ব ক্ষেত্রে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে ইউনূস সরকার। ইউনূসের বক্তৃতাতেও দেশবাসী ‘চূড়ান্ত হতাশ’। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম টেলিফোনে বলেন, “আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, মানবাধিকার রক্ষা থেকে দ্রব্যমূল্যে রাশ টানা, জনজীবনে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা— সব কিছুতেই ব্যর্থ এই অন্তর্বর্তী সরকার। সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের উপরে যে ভাবে আতঙ্কের পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, কেউই প্রকৃত খবর প্রকাশ করতে পারছে না। ইউনূসের ভাষণে দেশবাসী এ সব নিয়ে কোনও আশার আলো দেখতে পেলেন না।”

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির আগেই বলেছেন— “এই অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করে নতুন একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। সংস্কার নির্বাচিত সরকারের কাজ।”

আজ টাঙ্গাইলের একটি কর্মিসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি
ভাষণে বিএনপির অস্থায়ী চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “একমাত্র রাজনৈতিক সরকারের পক্ষেই জনগণের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। সে জন্য প্রয়োজন জনগণের সমর্থন, যা বিএনপির রয়েছে।” ‘নানামুখী ষড়যন্ত্র’ থেকে দেশবাসীকে সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে তারেক বলেন, “চক্রান্ত হলে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।”

বিশেষ করে ঢাকার বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠছে বার বার। গত কাল রাতে গাইবান্ধায় ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যান-সহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা-কর্মীকে তুলে নিয়ে যায় সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। অস্ত্র উদ্ধারের নামে তাঁদের উপরে রাতভর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ২ যুবক মারা গিয়েছেন। বাকিরাও গুরুতর জখম। রাজশাহিতে আওয়ামী লীগের সাবেক কর্মী মাসুদকে জামায়েতে ইসলামী কর্মীরা পিটিয়ে খুন করার তিন দিন পরে পুলিশ একটি মামলা করেছে, যাতে আসামি বা সাক্ষী— কারও নাম দেওয়া হয়নি। ইউনূস আজ বলেন, “আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Muhammad Yunus Bangladesh Government Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy