বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিক্ষোভ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে মৌলবাদী হেফাজতে ইসলামের মিছিল হিংসাত্মক হয়ে ওঠায় পুলিশ ও আধাসেনা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শনিবারের এই ঘটনায় অন্তত চার জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গোটা শহরের দখল নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, পৌরভবন, মুক্তমঞ্চ, পৌরবাজার, সরকারি অফিস, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এমনকি স্কুলে ভাংচুর করে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র তথা হেফাজতে ইসলামির কর্মীরা।
শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে পৌঁছনোর পরে বাংলাদেশের নানা জায়গায় তার বিরোধিতায় মিছিল বার করে মৌলবাদী ও কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠনগুলি। চট্টগ্রামে সেই মিছিল থেকে এক দল লোক পুলিশকে আক্রমণ করলে পুলিশ গুলি চালালে ৪ জন মারা গিয়েছিলেন। তার প্রতিবাদে কাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামির কর্মীদের গুন্ডামি চলছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনটি কাল ভেঙে আগুন লাগিয়ে দেয় মৌলবাদীরা। আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রতিরোধ গড়লে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কাল এক মাদ্রাসা ছাত্র প্রাণ হারিয়েছিল। সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের পাশাপাশি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-কেও মোতায়েন করে।
এর পুরে শনিবার বিরাট মিছিলের ডাক দেয় হেফাজত ও অন্য কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন। সেই মিছিল হঠাৎ মোতায়েন থাকা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ঘিরে ফেলে ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ গুলি চালায়। অন্তত ১২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার মধ্যে ৩ জনকে পরীক্ষার পরে চিকিৎসকেরা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় আরও এক জন মাদ্রাসা ছাত্র মারা যায়। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নিহতদের দেহে গুলির দাগ পেয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy