হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। ফাইল ছবি
দিন তিনেক আগে মাঙ্কি পক্স সংক্রমণ নিয়ে গোটা বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সংক্রমণ বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে তাকে ‘সতর্কবার্তা’ বলে আখ্যা দিলেন হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
মঙ্গলবার এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই সংক্রমণের পিছনে রয়েছে মাঙ্কি পক্স নামে একটি ভাইরাস। এটি স্মল পক্স শ্রেণির ভাইরাস। হু-এর তথ্য অনুযায়ী করোনা অতিমারীর মধ্যেই এখনও পর্যন্ত ৭৫টি দেশে প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে স্বামীনাথন এই তথ্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা আমাদের জন্য ‘সতর্কবার্তা’। কারণ, আমাদের সব সময় প্রাণঘাতী সব রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রস্তত থাকতে হবে।’’
এর টিকা প্রসঙ্গে স্বামীনাথন বলেন, ১৯৭৯-৮০ সাল থেকেই স্মল পক্সের টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। স্মল পক্সের টিকা মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে পারে। তবে তার জন্য গবেষণাগারের যথেষ্ট তথ্য আমাদের প্রয়োজন। তাঁর কথায়,‘‘বর্তমানে আমাদের হাতে স্মল পক্সের যে টিকা রয়েছে তা দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের। তবে হাতে এই টিকা খুবই কম রয়েছে। স্মল পক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে এই শঙ্কা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তা মজুত রয়েছে।’’
তিনি জানান, ‘বাভারিয়ান নরডিক’ নামে ডেনমার্কের একটি সংস্থা মাক্মি পক্সের টিকা তৈরি করছে। তবে ওই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে তাঁদের হাতে কোনও তথ্য নেই। যত দ্রুত সম্ভব এই তথ্য সংগ্রহ করতে হবে বলে মনে করেন স্বামীনাথন।
মাঙ্কিপক্স কি করোনাভাইরাসের নতুন রূপের থেকে ভয়ঙ্কর হতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘দু’টি ভাইরাসের সঙ্গে সরাসরি তুলনা করা যাবে না। কারণ, তথ্যের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও এটা পরিষ্কার যে মাঙ্কি পক্স একটি আলাদা ভাইরাস। এটি করোনার মতো একই গতিতে রূপান্তরিত হয় না। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy