Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Massacre

তাইল্যান্ডে নির্বিচারে গুলির মধ্যেই রক্ষা অ্যাম্মির, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েই কি ‘অলৌকিক’ রক্ষা!

গত বৃহস্পতিবার নং বুয়া লাম্ফু প্রদেশের ওই সেন্টারে আততায়ীর এলোপাথাড়ি গুলি আর ছুরিকাঘাতে মোট ২২ শিশুর প্রাণ গিয়েছে।

মায়ের সঙ্গে অ্যাম্মি।

মায়ের সঙ্গে অ্যাম্মি। ছবি- রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
ব্যাঙ্কক শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১৬
Share: Save:

ডে-কেয়ারে ঢুকে আততায়ী যখন নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে চলেছে, তখন ঘরের এক কোণায় কাঁথা মুড়ি দেওয়া অবস্থায় ঘুমোচ্ছিল শিশুটি। সম্ভবত সেই কারণেই আততায়ীর চোখে পড়েনি সে। না-হলে উত্তরপূর্ব তাইল্যান্ডের ওই ডে-কেয়ার সেন্টারের বাকি শিশুদের মতো অ্যাম্মিরও প্রাণ যেত।

ডাক নাম অ্যাম্মি। ভাল নাম পাভেনাট সুপলওং। এমনিতে ওর ঘুম ভীষণই পাতলা। কিন্তু সেই বীভৎস গণহত্যার দিনে কী ভাবে মেয়ে এত তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ল, ভেবে পাচ্ছেন না মা প্যানোমপাই সিঠং। তাঁর কথায়, ‘‘জলদি ঘুমিয়ে পড়েছিল বলেই বোধহয় মেয়েটা প্রাণে বেঁচে গেল।’’

গত বৃহস্পতিবার নং বুয়া লাম্ফু প্রদেশের ওই সেন্টারে আততায়ীর এলোপাথাড়ি গুলি আর ছুরিকাঘাতে মোট ২২ শিশুর প্রাণ গিয়েছে। অ্যাম্মি যে ঘরে ছিল, সেই ঘরে আততায়ীর গুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছে ১১ খুদের প্রাণ। সেই দিনের ঘটনায় প্রাণে বেঁচেছে একমাত্র অ্যাম্মি। তাঁর মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে বেঁচে ফিরেছে, এতে আমি খুশি। কিন্তু বাকিদের কথা ভেবে কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে। এমন মিশ্র অনুভূতি আমার জীবনে কখনও ঘটেনি।’’

রবিবার গোটা দিন জুড়ে অ্যাম্মিদের বাড়িতে পড়শিদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। এত লোককে একসঙ্গে দেখে অ্যাম্মিও ভীষণই খুশি। বাড়ির বাগানে পাড়ার অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে ছোটাছুটি করে বেড়িয়েছে সে। তার বাবা-মা জানান, ওই দিনের ঘটনার কথা কিছুই জানে না অ্যাম্মি। কিছুই দেখেনি সে। আততায়ী চলে গেলে কাঁথা মুড়ি দেওয়া অবস্থাতেই কেউ একজন তাকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বার করে আনেন। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘এটা অলৌকিক ছাড়া কিছু নয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Massacre
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE