ছবি: রয়টার্স
সে এক আশ্চর্য দুনিয়া। ‘ইউনিভার্স’-এর মতো ‘মেটাভার্স’। আর সেই দুনিয়ায় পা রাখতেই নাম বদল করল ফেসবুক। কিন্তু সে দুনিয়া কেমন? কোথায়? স্বর্গ-মর্ত-পাতালের বাইরে তৃতীয় কোনও জগৎ? না, এর কোনও বস্তুগত উপস্থিতি নেই, আছে ‘ভার্চুয়াল’ উপস্থিতি। সেখানে ব্যবহারকারীর পরিচয় আছে নিজস্ব, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আছে অর্থ, আছে সম্পত্তি, সেখানেই তাঁর পরিচয় তৈরি হবে নতুন করে। সেই বৃত্তে ঢুকে পড়ল ফেসবুক।
কী এই মেটাভার্স? এখানে ব্যবহারকারীদের প্রত্যেকের একটি করে ‘থ্রিডি ভার্চুয়াল’ রূপ থাকবে। সেই ভার্চুয়াল রূপ বাস্তবের মানুষটির প্রতিনিধিত্ব করবে ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। সেখানেই ওই থ্রিডি রূপটির মাধ্যমে পরিচয় তৈরি হবে বাস্তবের ব্যবহারকারীর। সেখানে তাঁর মতো আরও অন্য মানুষ থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে সেই দুনিয়াতে সম্পর্ক গড়ে উঠবে, কথা চলবে, আড্ডাও হবে। শুধু তাই নয়, এই ভার্চুয়াল জগৎ ব্যবহার করে খেলা, কোনও গানের বড় অনুষ্ঠান, সব কিছুই করা যাবে। ১৯৯২ সালে নিল স্টিফেনসন প্রথম তাঁর ‘স্নো ক্র্যাশ’ উপন্যাসে ‘মেটাভার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। সেই শব্দটি বর্তমানে প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ হিসাবে উঠে এসেছে। ফেসবুকের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এত দিন গেম খেলার ক্ষেত্রে কম্পিউটারে পর্দায় ভার্চুয়াল দুনিয়া দেখে তাতে অংশ নিতে হত। কিন্তু ‘মেটাভার্স’ এমন একটি পরিবেশ, যেখানে সেই পরিবেশের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন ব্যবহারকারী। শুধু প্রবেশ করতে পারবেন না, সেখানে এক কল্পনার দুনিয়া বা সমান্তরাল দুনিয়াও তৈরি হবে তাঁর পরিচয়ে। সেই থ্রিডি রূপটির জন্য জামাকাপড় কেনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় সব কাজ করতে হবে ব্যবহারকারীকে। নিজেকে গড়ে তুলতে হবে ‘মেটাভার্স’-এর মতো করে।
কবে সেই সমান্তরাল দুনিয়া তৈরি হবে? ফেসবুক বলেছে, শুধু তাঁদের চেষ্টায় ‘মেটাভার্স’ তৈরি হবে না। আরও বিভিন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ এতে প্রয়োজনীয়। ধীরে ধীরে পৃথিবী গড়ে তোলার মতো তৈরি হবে মেটাভার্স। সেটি মোটামুটি রূপ পেতে সময় লাগবে প্রায় ১০-১৫ বছর। তত দিনে ধীরে ধীরে ভিড় বাড়বে ‘মেটাভার্স’-এ। সেখানে শুরু হবে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান। একটি আলাদা অর্থনীতি তৈরি হবে সেখানে। ফেসবুকের আশা, তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে দেবে ‘মেটাভার্স’। ইতিমধ্যে সেখানে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে ফেসবুক। আগামী দিনে ১০ হাজার মানুষের এখানে কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy