Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪
Couple

সপ্তাহে তিন বার এক টুকরো ফল খেয়েই পেট ভরে এই যুগলের

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া এবং ইকুয়েডর, দু’দেশেরই নাগরিক এই দম্পতি। সঙ্গে রয়েছে পাঁচ বছরের পুত্র আর দুই বছরের কন্যা। আকাহিদের দাবি, ২০০৮ সাল থেকে সপ্তাহে তিন বার করে এক টুকরো ফল বা শুধুমাত্র শাকসব্জি খেয়েই চলে যায় এঁদের।

আকাহি রিকার্ডো এবং ক্যামিলা ক্যাসেলো

আকাহি রিকার্ডো এবং ক্যামিলা ক্যাসেলো

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৭ ১০:৫৩
Share: Save:

৯ বছরের দাম্পত্য জীবন। যুগলের বিশ্বাস অদ্ভুত এক দর্শনে। তাঁরা মনে করেন, জীবনে বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া প্রয়োজনীয় হলেও একোবারে অপরিহার্য নয়। আকাহি রিকার্ডো এবং ক্যামিলা ক্যাসেলোর মতে জাগতিক শক্তির বলেই মানুষ দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে। এও কী সম্ভব। রিকার্ডো-ক্যামিলার দাবি, সম্ভব! এমনকী এই যুগল বাস্তবে তা করেও দেখাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- বাচ্চাদের স্কুলে বিস্ফোরণ, চিনে মৃত ৭

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া এবং ইকুয়েডর, দু’দেশেরই নাগরিক এই দম্পতি। সঙ্গে রয়েছে পাঁচ বছরের পুত্র আর দুই বছরের কন্যা। আকাহিদের দাবি, ২০০৮ সাল থেকে সপ্তাহে তিন বার করে এক টুকরো ফল বা শুধুমাত্র শাকসব্জি খেয়েই চলে যায় এঁদের। শুধু তাই নয় গর্ভাবস্থায় ক্যামিলা ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ প্রায় কোনও খাবার ছাড়াই নাকি গর্ভকাল কাটিয়েছেন ক্যামিলা।

সন্তানদের সঙ্গে আকাহি রিকার্ডো এবং ক্যামিলা ক্যাসেলো

আকাহি এবং ক্যামিলার মতে তাঁদের এই ‘ফুড ফ্রি লাইফস্টাইল’ তাঁদের শরীরকে ষথেষ্ট ভাল রাখে। আর যে টাকাটা ওঁদের খাওয়াদাওয়ায় লাগত সেই টাকা দিয়ে অনায়াসে তাঁরা অন্য প্রয়োজন মিটিয়ে ফেলতে পারেন। ৩৪ বছরের ক্যামিলা বলছেন, “যতক্ষণ মানুষের শরীরে জাগতিক শক্তি চলাফেরা করছে, ততক্ষণ তাঁদের খাওয়াদাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’ ক্যামিলার স্বামী আকাহির দাবি, “ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির জন্য ক্যামিলার প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে কোনও অসুবিধা হয়নি। আর মানুষের খাওয়ার বিল কম করার জন্য ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির বিকল্প কিছু হয়নি।”

২০০৫ সালে এই যুগলের প্রথম দেখা হয়। ২০০৮ সালে বিয়ে। এক বন্ধুর থেকেই ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির খুঁটিনাটি জানতে পারেন ওঁরা। তারপর ধীরে ধীরে এই ২১ দিনের ব্রেথারিয়ান পদ্ধতির মধ্যে ঢুকে পড়েন আকাহি এবং ক্যামিলা। পরের তিন বছরে তাঁরা কোনও ভারী খাবার খাননি। এমনকী ২০১১ সালে ক্যামিলার প্রথম সন্তানের জন্মের সময়ও না।

এখন কোনও অনুষ্ঠান হলে তবেই ভারী খাবারে হাত দেন আকাহি এবং ক্যামিলা। তবে তাঁদের সন্তানরাও এই নিয়মে চলুন, তা চান না ক্যামিলারা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy