গত তিন বছরের যুদ্ধে ইউক্রেন সীমান্তের ৭০০ কিলোমিটার দূরের ওই বিমানঘাঁটিই ছিল রুশ বায়ুসেনার মূল ঘাঁটি। সেখান থেকেই নিয়মিত টুপলভ টিইউ-১৬০ বোমারু বিমান উড়ে গিয়ে হামলা চালাত ইউক্রেনের নানা প্রান্তে। বৃহস্পতিবার রাতে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনী ড্রোন হানার নিশানা হিসেবে বেছে নিল সেই এঙ্গেলস বিমানঘাঁটিকে!
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলার সময় মূল রানওয়ে এবং আশপাশের নির্মাণগুলিতে (সম্ভবত, বিমান রাখার হ্যাঙ্গার) ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। সেগুলি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সৌদি আরবের রিয়াধে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারের কাছে এই ঘটনা বিড়ম্বনা বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় এঙ্গেলস বিমানঘাঁটির কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেনি মস্কো। তবে শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা দফতর দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের ১৩২টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে জ়েলেনস্কি জানিয়েছিলেন, ইউরোপের দুই দেশ থেকে সদ্য কিছু মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পেয়েছেন তাঁরা। এর পরেই রাশিয়ার মাটিতে প্রত্যাঘাত করে শক্তি জানান দিল কিভ।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মঙ্গলবার রাতে টেলিফোন-আলোচনায় ইউক্রেনের অসামরিক পরিকাঠামো, জনপদ এবং জ্বালানিক্ষেত্রে আগামী ৩০ দিন হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ট্রাম্পের তরফে দেওয়া ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। এর পরে বুধবার জ়েলেনস্কি ফোন করেন ট্রাম্পকে। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ডন স্ক্যাভিনো জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে দু’জনের আলোচনা হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ধারাবাহিক ভাবে লড়াই চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের।