প্রায় দু’মাসের যুদ্ধবিরতিতে একতরফা ভাবে ইতি টেনে গত মঙ্গলবার থেকে গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা শুরু করেছিল ইজ়রায়েল সেনা। টানা তিন দিনের ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানহানায় ২০০ শিশু-সহ ৬০০ জনেরও বেশি প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে স্বশাসিত গাজা কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতর।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাসের নেতা তথা গাজ়ার প্রশাসনিক প্রধান এসাম আল-দালিস, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক দফতরের প্রধান মাহমুদ আবু ওয়াতফা, নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বাহজ়াত আবু সুলতান। এ ছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন ১০৫০ জন প্যালেস্টাইনি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে ইজ়রায়েল সেনা স্থলপথে অভিযান (গ্রাউন্ড অপারেশন) শুরু করায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে রমজানের মধ্যেই গাজ়ায় একতরফা হামলা শুরুর জন্য অবশ্য ‘হামাসের সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা’ রোখার যুক্তি দিয়েছে তেল আভিভ। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাস বাকি পণবন্দিদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছে। তার জবাব দিতেই এই হামলা। ইজ়রায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, হামাসের কাছে এখনও ৫৯ জন পণবন্দি রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত বলে ইজ়রায়েলি গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে। নেতানিয়াহু বুধবার ঘোষণা করেছেন, এ বার শুধু বন্দুকের মাধ্যমেই হামাসের মোকাবিলা করা হবে।