Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

৩০ হাজার কোটির প্রায় সবই বিলিয়ে মেয়ের জন্য পৃথিবী গড়বেন জুকেরবার্গ

তিনি মার্ক জুকেরবার্গ। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সংস্থার হাত ধরে আন্তর্জাতিক আঙিনা আজ সর্বজনীন। এ বার তিনি ফেসবুককে আরও সর্বজনীন করতে চলেছেন।তিনি মার্ক জুকেরবার্গ। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সংস্থার হাত ধরে আন্তর্জাতিক আঙিনা আজ সর্বজনীন।

সপরিবার। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সপরিবার। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৫৯
Share: Save:

সোশ্যাল মিডিয়ার উদ্ভাবক তিনি নন। কিন্তু, আজকের সোশ্যাল মিডিয়ার যে বিপুল ব্যাপ্তি, তার সিহংভাগ কৃতিত্ব তাঁরই।

তিনি মার্ক জুকেরবার্গ। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সংস্থার হাত ধরে আন্তর্জাতিক আঙিনা আজ সর্বজনীন। এ বার তিনি ফেসবুককে আরও সর্বজনীন করতে চলেছেন।তিনি মার্ক জুকেরবার্গ। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সংস্থার হাত ধরে আন্তর্জাতিক আঙিনা আজ সর্বজনীন। এ বার তিনি ফেসবুককে আরও সর্বজনীন করতে চলেছেন। আক্ষরিক অর্থেই। প্রথম সন্তান তথা একমাত্র কন্যাসন্তানের জন্মের পর সিলিকন ভ্যালির অন্যতম মহারথীর ঘোষণা, জীবদ্দশাতেই বিলিয়ে দেবেন নিজের হাতে থাকা ফেসবুক মালিকানার ৯৯ শতাংশ। ৩০৩ বিলিয়ন ডলারের সংস্থা ফেসবুক। জুকেরবার্গের হাতে রয়েছে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মালিকানা। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই বিপুল সম্পদের ৯৯ শতাংশই মানবোন্নয়নের কাজে বিলিয়ে দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত মার্ক জুকেরবার্গ এবং তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান-এর। ছোট্ট কন্যাসন্তান ম্যাক্সকে লেখা খোলা চিঠিতে জুকেরবার্গ দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের জীবদ্দশাতেই ধাপে ধাপে বিলিয়ে দেবেন ফেসবুকের শেয়ার।

সাফল্যের উত্তুঙ্গ শিখর ছুঁয়ে কেন এই সন্ন্যাস! বয়সে তো এখনও নেহাতই তরুণ। জুকেরবার্গ ৩১, তাঁর স্ত্রী প্রিসিলা ৩০। এখনই এমন দান-ধ্যানে মেতে ওঠার সিদ্ধান্ত কেন? খোলা চিঠিতে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন দম্পতি। ম্যাক্সকে একটা নতুন পৃথিবী উপহার দিতে চান তাঁরা। এমন একটা পৃথিবী যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর পছন্দের জীবন বেছে নেওয়ার অধিকার থাকবে সব শিশুর। শুধু তাঁদের উদ্যোগে যে সব বদলে যাবে না, তা জুকেরবাগ্র জানেন। কিন্তু, বদলতাতে শুরু করা একটা পৃথিবীতে বড় হোক ম্যাক্স— চাইছেন মার্ক ও প্রিসিলা। খোলা চিঠিতে তাই লিখেছেন, তাঁর মেয়ের পৃথিবীতে থাকবে সাম্য, থাকবে সুসাস্থ্য। এমন একটা পৃথিবীতে ম্যাক্সদের প্রজন্ম বড় হবে, যেখানে শিক্ষার বিষয় আর পদ্ধতি হবে নিজের পছন্দের। জুকেরবার্গ লিখেছেন, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য হবে মানুষে মানুষে সংযোগ বৃদ্ধি আর খুব মজবুত একটা সমাজ গড়ে তোলা।’’ মার্কিন মুলুকের তরুণ বিলিয়নেয়ারের এমন সাম্যবাদী চিন্তা চমকে দিয়েছে সে দেশের প্রশাসনিক কর্তাদেরও।

জুকেরবার্গই এক মাত্র নন। বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেটও একই পথের পথিক হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মর্যাদা পাওয়ার পর, নিজেদের সম্পত্তি বিলিয়ে দিতে শুরু করেছেন সেবামূলক কাজে। জুকেরবার্গ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন সেই বিল গেটসের কাছেই। বলেছেন, বিল আর মেলিন্ডা গেটস পথ না দেখালে, তাঁরাও এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। নিজের ফেসবুক পেজে মেয়ের ছবির সঙ্গে মেয়েকে লেখা প্রথম চিঠি ফলোয়ারদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন মার্ক। দু’মিনিটের মধ্যে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার লাইক পড়েছে। স্ত্রী প্রিসিলা গর্ভবতী থাকার সময় থেকেই বেশ কয়েকবার ছবি শেয়ার করেছেন নিজের ওয়ালে। এমনকী পিতৃত্বকালীন ছুটিও নিয়েছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Mark Zuckerberg facebook charity MostReadStories
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE