তখনও জ্বলছে আগুন কিয়োটো অ্যানিমেশন (কিয়োঅ্যানি) স্টুডিয়োয়।
কিয়োটো অ্যানিমেশন (কিয়োঅ্যানি) স্টুডিয়োয় আগুন লাগিয়ে ৩৩ জনকে হত্যার ঘটনায় ধৃত ব্যক্তি দাবি করল, তার লেখা উপন্যাস চুরির শাস্তি দিতেই সে এই কাজ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ৪১ বছর বয়সি শিনজি আওবা জেলফেরত আসামি। ২০১২ সালে একটি দোকানে ডাকাতি করেছিল সে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে টোকিয়ো শহরতলিতে সাইতামায় প্রাক্তন বন্দিদের জন্য তৈরি বিশেষ আবাসনে থাকত। তার মানসিক অসুস্থতা ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এবং সেই সংক্রান্ত চিকিৎসাও চলছিল। শিনজির পড়শিরাও জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ করত সে। তবে তার লেখা উপন্যাস চুরির যে দাবি সে করেছে, সেই ঘটনার সত্যতা নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ।
সরকারি সংবাদ সংস্থার প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা গিয়েছে, উপুড় হয়ে শুয়ে শিনজি। পায়ে জুতো নেই। একটা পা পুড়ে গিয়েছে। সেই অবস্থায় তাকে জেরা করছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, কিয়োটো থেকে শিনজির বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার। ঘটনার দিন সে ট্রেনে করে কিয়োটো এসেছিল। একটি দোকান থেকে ২০ লিটারের দু’টি পেট্রল ক্যান কেনে। তার পর স্টুডিয়োর কাছেই একটি পার্কে সমস্ত বন্দোবস্ত করে। একটি বালতিতে পেট্রল ঢালে। তার পর সেটা ট্রলি করে নিয়ে স্টুডিয়োয় ঢুকে পড়ে। কারও বুঝে ওঠার আগেই পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। চিৎকার করতে থাকে, ‘‘তোমরা মরো।’’
পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দমকল চলে এসেছিল। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। বাড়িটিতে ফানেলের মতো পেঁচানো সিঁড়ি। আগুন সেখানে ছড়িয়ে যায়। তাতেই বিপদ বাড়ে। কেউ উপরের তলা থেকে নীচে নামতে পারেননি। বাড়িটিতে কোনও স্প্রিঙ্কলারও ছিল না যে জল ছিটিয়ে আগুন কিছুটা সামলাবে। সিঁড়ি বেয়ে আগুন উঠতে থাকে। লোকজন ভয়ে উপরের তলায় পালাতে থাকেন। কিন্তু ছাদের দরজা তাঁরা খুলতে পারেননি। সিঁড়ির উপরেই স্তূপীকৃত অবস্থায় অধিকাংশ দেহ মিলেছে। বেশির ভাগেরই মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে। তবে নিহতদের কারও পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy