এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চলন্ত অ্যাম্বুল্যান্সে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ মধ্যপ্রদেশের মৌগঞ্জ জেলায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে এক জন ওই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক এবং অপর জন তাঁর সঙ্গী। নির্যাতিতার অভিযোগ, ধৃতেরা একটি ‘জননী এক্সপ্রেস’ অ্যাম্বুল্যান্সে তাকে অপহরণ এবং গণধর্ষণ করে। বস্তুত, বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় মধ্যপ্রদেশ সরকার ‘জননী এক্সপ্রেস’ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দিয়ে থাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৌগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হনুমান থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ঘটনার পর বছর ষোলোর ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যেরা থানায় অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অ্যাম্বুল্যান্সের চালক এবং তাঁর এক সঙ্গীকে। অভিযুক্তেরা উভয়েই মৌগঞ্জ জেলার নয়গড়ি এলাকার বাসিন্দা। যা হনুমান থানা এলাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে।
মৌগঞ্জের পুলিশ সুপার স্বর্ণ ঠাকুর জানিয়েছেন, নির্যাতিতার গণধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। তার শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়। শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
যদিও ‘জননী এক্সপ্রেস’ অ্যাম্বুল্যান্সের বিষয়ে সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। পিপিপি মডেলে বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। প্রসূতি, অসুস্থ শিশু এবং দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষদের জন্য এই পরিষেবা দিয়ে থাকে সে রাজ্যের সরকার।
এক মাস আগেই মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় এক নববিবাহিতাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। গত ২১ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছিল। স্বামীর সঙ্গে চড়ুইভাতিতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার এক মাসের মধ্যে ফের গণধর্ষণের অভিযোগ মধ্যপ্রদেশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy