—প্রতীকী চিত্র।
অর্থের অভাবে নিজের সন্তানকে জীবন্ত অবস্থায় মাটিতে পুঁতে দিলেন বাবা। পাকিস্তানের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, ১৫ দিনের শিশুকন্যার চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের থারুশাহ এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম তায়াব। পাক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই জানিয়েছে, ১৫ দিন বয়সি শিশুকন্যাকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে নিজেই স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত। তিনি জানান, সন্তানকে প্রথমে তিনি জীবন্ত অবস্থাতেই একটি বস্তায় ভরেছিলেন। তার পর মাটি খুঁড়ে সেই বস্তা পুঁতে দেন। পুলিশকে অভিযুক্ত আরও জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে তাঁর নিজেরই পেট চলে না। সন্তানকে কোনও রকমে খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, ওই শিশুর চিকিৎসা প্রয়োজন। যাতে বেশ খানিকটা খরচ করতে হবে। এর পরেই শিশুটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বাবা।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কর্তৃপক্ষ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই শিশুকন্যার কবর খুঁড়ে তথ্য সংগ্রহ করবে পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষা এবং ময়নাতদন্তও করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি তাঁদের কাছেও আরও স্পষ্ট হবে।
এর আগে ২০১২ সালে পাকিস্তান থেকে অনুরূপ একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সে বার কন্যা সন্তান জন্মানোর পর তাঁর মুখ পছন্দ হয়নি বাবার। শুধুমাত্র সেই কারণেই দু’দিন বয়সি সন্তানকে জীবন্ত অবস্থায় মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁকেও গ্রেফতার করেছিল পাকিস্তানের পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy