কানাডার পার্লামেন্ট এবং সংলগ্ন এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পার্লামেন্টের ভিতরে এক যুবক ঢুকে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। সে কথা জানতে পেরে পার্লামেন্টে অভিযান চালায় পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে লকডাউন জারি করে দেওয়া হয়। গভীর রাতে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। রাজধানী অটোয়ার পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে রবিবার সকালে। আপাতত কানাডায় ভোররাত।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুমোদন ছাড়াই পার্লামেন্ট হিল ভবনের ইস্ট ব্লকে এক যুবক ঢুকে পড়েছিলেন। দীর্ঘ ক্ষণ ভিতরে ছিলেন। কী ভাবে নিরাপত্তা এড়িয়ে তিনি ওই ভবনে ঢুকলেন, তাঁর কাছে অস্ত্র ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন:
অটোয়া পুলিশ সমাজমাধ্যমে লেখে, ‘‘পার্লামেন্ট হিলে পুলিশি অভিযান চলছে। ইস্ট ব্লকে এক যুবক ঢুকে পড়েছেন। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী রয়েছে। ইস্ট ব্লক খালি করে দেওয়া হয়েছে। কারও আঘাত লাগেনি।’’ ওই এলাকায় কাউকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
লকডাউন জারি করে রাতে পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ওয়েলিংটনের ইস্ট ব্লকে লকডাউন। যাঁরা এই এলাকায় আছেন, নিকটবর্তী বাড়িতে আশ্রয় নিন। ঘরে ঢুকে পড়ুন এবং সব দরজা, জানালা বন্ধ করে রাখুন। যাঁরা এই মুহূর্তে এই এলাকায় নেই, পরবর্তী নির্দেশিকা না-আসা পর্যন্ত তাঁরা দূরে থাকুন। লকডাউনের মধ্যে এই এলাকায় কেউ আসার চেষ্টা করবেন না। পরবর্তী নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করুন এবং নিরাপদ থাকুন।’’
এই ঘোষণার বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে অটোয়া পুলিশ জানায়, পার্লামেন্ট ভবনে পুলিশি অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। সকালে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানাবে পুলিশ। সহযোগিতার জন্য জনগণকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।
পার্লামেন্ট ভবনে কী উদ্দেশ্য নিয়ে যুবক ঢুকেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পার্লামেন্ট ভবনে পুলিশ কুকুর, বম্ব স্কোয়াড তল্লাশি চালাচ্ছে বলে খবর।
গত জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো ইস্তফা দেওয়ার পর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হন মার্ক কার্নে। শপথগ্রহণের ন’দিনের মাথায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেন তিনি। নতুন সরকার গড়তে সাধারণ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেন। কানাডায় ভোট হবে আগামী ২৮ এপ্রিল। সাধারণ ভাবে কানাডায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরে। নির্ধারিত সময়ের ছ’মাস আগেই ভোট ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ভোটের মুখে পার্লামেন্ট ভবনে এই পুলিশি অভিযান এবং লকডাউন নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াল।