বেঞ্জামিন হসকিন্স প্যাডক ও ছেলে স্টিফেন প্যাডক। ছবি: সংগৃহীত।
লাস ভেগাসের ঘাতক স্টিফেন প্যাডকের নাম অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে না জড়ালেও তার বাবা বেঞ্জামিন হসকিন্স প্যাডক ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে দোষী সাব্যস্ত হয় বলে জেনেছে পুলিশ। গাড়ি চুরিতেও নাম জড়ায় তার। পরে কারাদণ্ড হলেও জেল থেকে পালায় হসকিন্স। ১৯৬৯-র ঘটনা। এফবিআই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নামও ছিল তার। ১৯৭৮ সালের আগে সে ধরা পড়েনি। তখন তার ছেলে স্টিফেন ১৫-র কিশোর।
স্টিফেন প্যাডকের ভাই এরিক আবার অরল্যান্ডোয় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন, শৈশবে তারা দু’ভাই বাবাকে কাছে পাননি। নির্মাণ ব্যবসায় স্টিফেনের বড়সড় লগ্নি ছিল। হাতে প্রচুর ধনসম্পত্তিও ছিল। এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা তদন্তের স্বার্থে এখন রেনোতেই রয়েছেন। এরিক ভাইয়ের এই ভয়ানক রূপ জানার পরে স্তম্ভিত। ভাইয়ের জুয়ায় নেশা ছিল, জানতেন। হ্যান্ডগান, রাইফেলের কথাও জানতেন। কিন্তু বিদ্বেষ, হিংসা, রাজনীতি, ধর্ম— এ সবে স্টিফেনের কোনও উৎসাহ ছিল না বলে দাবি এরিকের।
আরও পড়ুন: এত অস্ত্র ছিল হামলাকারীর কাছে! অবাক পুলিশ
নিহতদের স্মরণে বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতি হাতে মিছিল হয়েছে। কিন্তু এত বড় বিপর্যয়ের পরেও কি আমেরিকায় বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে না— প্রশ্নটা থাকছেই।
আপত্তি তুলেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্যা প্রমীলা জয়পাল। তাঁর মতে, এই আইন নিয়ন্ত্রণে সর্বতো ভাবে এগিয়ে আসা উচিত কংগ্রেসের। সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ বক্তৃতায় প্রমীলা বলেন, ‘‘অধিকারের সঙ্গে জুড়ে থাকে দায়িত্ববোধও। বন্দুক বিক্রিতে যে সব ত্রুটি রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করার দায়িত্ব নিতে হবে। যথেষ্ট হয়েছে।’’ তাঁকে সমর্থন জানান অ্যামি বেরা, রাজা কৃষ্ণমূর্তি এবং রো খন্নার মতো কংগ্রেসের অন্য সদস্যরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy